ঢাকার আশুলিয়ার রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী হাতি। পিঠে বসা মাহুত। মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌঁশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুতরা। সর্বনিন্ম ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী একশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয় সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতারা।
আশুলিয়ার স্যুটিংবাড়ি এলাকার একটি চায়ের দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে চায়ের দোকানদার ১০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার সাত্তার বিশ্বাস বলেন, টাকা না দিলে হাতি যাবে না। তাছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।
হাতির মাহুত বলেন, হাতির ভরনপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কিভাবে।
আশুলিয়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল দেওয়ান বলেন, হাতির কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতিগুলো রাস্তায় নামে। হাতিগুলো চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়।