ঢাকা, রবিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইবিতে ফটোস্ট্যাট দোকানীদের সিন্ডিকেট!

আশরাফুল আলমঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ ০৭:০৬:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা
 
 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্যাম্পাস গেটের ফটোস্ট্যাট-কম্পিউটারের দোকানগুলো বাড়তি দাম রাখার জন্য সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করার অভিযোগ ওঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্ভরশীলতার সুযোগ নিয়ে ফটোকপি, কম্পিউটার কম্পোজের বেশি দাম নেওয়া ছাড়াও নিন্মমানের কাগজ দেওয়াসহ দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এক সপ্তাহ আগে ফটোকপির দোকানে ছবি প্রিন্ট করতে দিয়েছে ২০ টাকায়। সেই ছবি তুলতে এসে ৩০ টাকা দিতে হয়েছে। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে। তারা আরও জানান, ফটোকপি, অ্যাসাইমেন্টের কভার পেজ, ছবি প্রিন্ট, স্পাইরালসহ বিভিন্ন কাজের জন্য দোকানিরা বেশি দাম হাকেন। তারপরেও কম মানের সেবা পেয়ে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
 
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি ফটোকপি, অ্যাসাইনমেন্ট, বিভিন্ন শিক্ষকদের বইসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের কাজ করতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও বাহিরের ফটোকপির দোকানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কথা জানালে ক্যাম্পাসের ভেতরের দোকানিরা জানান, কাগজ-কালির দাম বেড়েছে। গেটের বাহিরে গেলে আরও বেশি টাকা দিতে হবে।
 
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজা আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও বাহিরের ফটোকপির দোকানগুলোর ওপর শিক্ষার্থীদের নির্ভরশীলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাম নিয়ে থাকে দোকানিরা। রাজা আরও জানান, একই কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সেবা নিতে গেলে এক দাম, আবার মেইন গেটের সামনে গেলে আরেক দাম নেওয়া হয়।
 
আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিজান জানান, সব শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ফটোকপিসহ অন্যান্য কাজ করতে হয়। ক্যাম্পাসের ভেতর ও বাহিরে সব জায়গায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে। অধিক লাভ করার জন্যেই তারা বেশি দাম রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরের দোকানিরা আরও কমে এসব কাজ করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সময় বাঁচাতে গিয়ে তাদের এসব দোকানিদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।  
 
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ক্যাম্পাসের ভেতরের দোকানিরা জানান, সব দোকান একই দাম রাখবে না। যে যার লাভ বিবেচনা করে দাম রাখে। তবে ক্যাম্পাস গেটের দোকানিদের জন্য ভেতরের দোকানিদের ওপর দোষ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বরং দাম কম রাখার দাবি করে তারা।
 
নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের সকল দোকানের তদারকি করবে এস্টেট অফিস। এ প্রসঙ্গে দপ্তরটির প্রধান শামছুল ইসলাম জোহা জানান, ক্যাম্পাসের ভেতরে বাহিরে কোন দোকানে কত টাকা দাম নেওয়া হবে তা নিয়ে তদারকি এস্টেট অফিসের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, দাম বাড়লেও এক টাকার ফটোকপি কোনভাবে আড়াইটাকা রাখা ঠিক হবে না। বিষয়টা নিয়ে জরিপ করে দোকানি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।