ঢাকা, শনিবার ৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫শে কার্তিক ১৪৩১

এ বছর ৪৬ সাংবাদিক নিহত, রেকর্ড বন্দি: আরএসএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

 

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জন্য ২০২১ সালটা কঠিনই কেটেছে। এ বছর দায়িত্বপালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন সাংবাদিক। সংখ্যার দিক থেকে এটি বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কম হলেও আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই। কারণ, একই সময়ে সাংবাদিকদের বন্দি হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশি। এ বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৪৮৮ জন সাংবাদিককে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৪৬ সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। অন্য বছরগুলোর তুলনায় এই সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হিসেবে সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে উত্তেজনা কমার কথা উল্লেখ করেছে আরএসএফ।

 

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি জানিয়েছে, সাংবাদিক হত্যার দিক থেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ছিল মেক্সিকো। এ বছর সেখানে সাত সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আফগানিস্তানে মারা গেছেন ছয় সাংবাদিক। ইয়েমেন ও ভারতে চারজন করে সাংবাদিক হত্যার শিকার কয়েছেন।

 

আরএসএফের তথ্যমতে, চলতি বছর অন্তত ৬৫ সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে।

 

২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৪৮৮ জন সাংবাদিক কারাবন্দি হয়েছেন, যা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠনটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। অবশ্য এদের মধ্যে ১০৩ জন পেশাদার সাংবাদিক নন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত প্রকাশের জন্য বন্দি হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

 

এ বছর ক্যামেরা চালানোর জন্য জেলে গেছেন ২২ সাংবাদিক। আর নারী সাংবাদিকদের কারাগারে ঢোকানোর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

 

আরএসএফের প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক বন্দি করার ক্ষেত্রে সবার ওপরে চীন। দেশটি এ বছর অন্তত ১২৭ জন সাংবাদিককে কারাগারে ঢুকিয়েছে। এরপর মিয়ানমারে ৫৩ ও বেলারুশে ৩২ জন সাংবাদিক বন্দি হয়েছেন। সাংবাদিক নিপীড়কের এই তালিকায় নাম রয়েছে ভিয়েতনাম এবং সৌদি আরবেরও।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত গ্রেফতারির উল্লেখযোগ্য উত্থানের জন্য মূলত তিনটি দেশ দায়ী, যাদের সরকারগুলো নাগরিকদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষার প্রতি উদাসীন। এই পরিসংখ্যান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপেরই ইঙ্গিত দেয়।