ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা টাঙ্গাইলে প্ররোচনাকারীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে কলেজের ছাত্রীরা। নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় সুইসাইট নোট লিখে আত্মহত্যা করেন কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার। বুধবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সংলগ্ন বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানবন্ধনে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তানিয়ার পরিবারের লোকজন  প্ল্যাকার্ড হাতে যোগ দেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, প্রভাষক আমিনুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া এবং তানিয়ার সহপাঠী তাছলিমা জাহান ও অপর্ণা ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোন তানিয়া যেন এভাবে অকালে ঝড়ে না যায় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়। 

তানিয়া মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। 

মির্জাপুর উপজেলার বুড়িহাটী গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার প্রেমের ফাদে ফেলে তানিয়ার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। তানিয়ার নগ্ন ভিডিও গোপনে মোবাইলে ধারণ করে। ওই ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে তানিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুজন মিয়া। এরপরও চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করে তানিয়কে। একপর্যায়ে তানিয়ার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয় সুজন । এতে তানিয়া মানুষিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তানিয়া একটি সুইসাইট নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজন মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সুজন মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।

মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, বুধবার সুজন মিয়াকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।