ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাউন্সিলরের পক্ষে স্লোগান, র‌্যাবের ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২২ ০৩:২১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় তার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই কেন্দ্রটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই কেন্দ্রটিতে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন ভোটাররা। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করেই একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তার প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন। এ সময় তাদের লাঠি হাতে ধাওয়া দেন দায়িত্বপালনকারী র‌্যাব সদস্যরা।

এর আধঘণ্টা আগেও এই কেন্দ্রটির সামনে স্লোগান দেওয়ায় বিজিবি সদস্যরা কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেন। বিজিবি সদস্যরা কেন্দ্রটির সামনে থেকে সরে যেতেই আবার স্লোগান দেওয়া শুরু করেন কয়েকজন। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা লাঠি হাতে তাদের ধাওয়া দেন।

নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার এই ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর পদে লাটিম প্রতীকে শফিউদ্দিন প্রধান (শফি), ব্যাডমিন্টন প্রতীকে আলিফ হাবিব জর্দান এবং ঘুড়ি প্রতীকে মনিরুজ্জামান মনির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট কেন্দ্রের সামনে দায়িত্বপালনকারী র‌্যাবের এক সদস্য বলেন, কয়েকজন ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাদের আমরা এখনা থেকে সরিয়ে দিয়েছি।

ভোটকেন্দ্রটির সামনে কথা হয় মো. সালাম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল থেকে এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছিল। প্রার্থীদের কর্মীরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই লাটিমের পক্ষে কয়েকজন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা লাঠি হাতে ধাওয়া দেন।

সাদ্দাম হোসেন নামের আরেকজন জন বলেন, এখানে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ঝামেলা করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। হঠাৎ করেই কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় লাঠি হাতে র‌্যাব সদস্যরা তেড়ে আসেন। এ সময় যে যেভাবে পেরেছে দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এর আধঘণ্টা আগেও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেন, সেসময় বিজিবি সদস্যরা কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন।