![](https://dainikbayanno.com/storage/whatsapp-image-2025-02-11-at-183713-05e4c8a1.jpg)
রিকাত শেখ আগে বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। গত ১০ বছরে তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। বলছি খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের মৃত ধলা মিয়া শেখের পুত্র রিকাত শেখর কথা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে দেখা যাচ্ছে বিএনপির মিটিং-মিছিলে।
বিএনপির কিছু নেতাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে বিএনপির কমিটিতে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দলের তৃণমূলের নেতারা মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেক নেতা তাকে সুবিধাবাদী হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা জানান, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার’ দাবিসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেরখাদায় বিএনপি সহ সকল সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন মিছিল-মিটিং হচ্ছে। এসব মিছিল-মিটিংয়ে দলত্যাগী আ’লীগ সরকারের সুবিধাভোগি রিকাত শেখকে দেখা যাচ্ছে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, রিকাত শেখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আ’লীগে যোগদান করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন, উপজেলা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করেছেন। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর পরই দুঃসময়ে দল ছেড়ে চলে যাওয়া এসব নেতা সক্রিয় হয়েছেন। এতে তাদের অনেকে নাখোশ। কয়েক মাস আগেও যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন তারাই হঠাৎ বিএনপিতে সক্রিয় হয়েছেন। এভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভিড়লে আওয়ামী লীগের মতো করুণ দশা হতে পারে দলের। রিকাত শেখের বিরুদ্ধে রয়েছে জোড়া হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা। এসব মামলায় জেল খেটেছেন তিনি। আওয়ামী দোসরের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত প্রকাশ করেছেন তেরখাদা উপজেলা একাধিক বিএনপি নেতা। রিকাত শেখ এ বিষয়ে বলেন, আমি বিএনপি'র লোক বিধায় আমাকে আ'লীগের নেতা বাচ্চু জোড়া খুনসহ একাধিক মামলার আসামি করেছিলো, আমিও নিজেকে রক্ষা করতে আ'লীগে যোগ দিয়েছিলাম এটা সত্য। এখন আমার কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এ বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলু বলেন, ঘটনা সত্য, রিকাত আ'লীগের লোক বলে সবাই জানে, এখন সে বিএনপির কিছু লোকজনের সাথে চলাফেরা করছে বিএনপিতে যোগদানের জন্য।
বায়ান্ন/আরএস