প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা প্রবাসে থাকায় তারা অনেকে ঠিকমতো পরিবারে টাকা পাঠাতে পারেনা। এতে করে টাকার অভাবে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়ে যায়। তাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও পড়াশোনার যাবতীয় খরচ এর জন্য প্রবাসী সন্তানদের মাঝে গাইবান্ধায় শিক্ষাবৃত্তির আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান অধিদপ্তর ( বিএমইটি)'র সহায়তায় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি, অফিস গাইবান্ধার আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ডিবি রোডস্থ মুগ্ধ প্লাজায় অফিস রুমে জেএস,সি, এস,এসসি, এইচএসসি ও মাষ্টার্স এর ১৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা হিসেবে চেক প্রদান করেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এর সহকারি পরিচালক নেসারুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গাইবান্ধার ম্যানেজার আল আজম সরদার, ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার শাহজাহান আলী, সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা প্রমুখ।
"বোনারপাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসীর এস,এসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে জানান-আমার বাবা সৌদিতে থাকে। শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে আর্থিক অনুদান পেয়ে ভালই লাগছে। এস,এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হতে আমার সহজ হল।
"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোছা: সায়দা বেগম" জানান- আমার বাবা একজন কাতার প্রবাসী। আমাদের মত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ পেয়ে আমার খুব ভাল লাগছে। প্রবাসী কর্মীরা অনেক কষ্টে উপার্জন করে ও কষ্টে থাকে। তারা ঠিকমতো পরিবারে টাকা পাঠাতে পারেনা। শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে একটা খরচ থেকেই যায়। টাকাটি কাজে লাগবে। এদের কথা চিন্তা করে সরকার একটি ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এর ভাল উদ্দোগ।
"গোবিন্দগঞ্জ বাসিন্দা ও প্রবাসী জিল্লুর রহমান" জানান- আমি ছুটিতে এসেছি। প্রবাসীদের সন্তানদের লেখাপড়ার চিন্তা করে সরকার, এবং কর্মসংস্থান ও
জনশক্তি, অফিস শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির যে সুযোগ করে দিয়েছে। এটি একটি ভাল উদ্দোগ। তবে এটির প্রচার কম। আমি চাই এটি আরও প্রচার হোক। তবে মানুষ উপকৃত হবে। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে। প্রবাসের মধ্যভাগে বাংলাদেশীরা অনেক কষ্টে আছে। যারা বৈধভাবে গেছে তারা একটু হয়ত ভাল চলছে। তবে যারা অবৈধভাবে গেছে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এটি দেখা উচিৎ। তারা যদি সরকারি ভাবে ট্রেনিং নিয়ে বৈধভাবে যেত তাহলে এ সমস্যা হত না।
"কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস গাইবান্ধা'র সহকারি পরিচালক নেসারুল হক" জানান- প্রবাসে বাংলাদেশীরা অনেক কষ্টে থাকে। তারা ঠিকমতো পরিবারের সদস্যদের ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ ঠিকমতো চালাতে পারেনা। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। তাদের কথা চিন্তা করে সরকারের উদ্দোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করছি। এসএসসি ২০২১ ব্যাচ এর ৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রতি ২৭হাজার ৫শ টাকা, এসএসসি ২০২০ ২য় কিস্তি হিসেবে ৩জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২৭হাজার ৫শ ও এসএসসি ২০২০ এর প্রথম দফা হিসেবে ৬জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ হাজার করে মোট ৪লক্ষ ২৪ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের বিয়ের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে যাব।