ঢাকা, বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ই মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রামে দুদকের আওয়ামীপন্থী ৩ আইনজীবী বহাল তবিয়তে

চট্টগ্রাম অফিস | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:১২:০০ অপরাহ্ন | আইন-আদালত

চট্টগ্রাম আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা পরিচালনায় আওয়ামী লীগপন্থী তিনজন আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে তাদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন। স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পর দেশের বিভিন্ন আদালতে তাদের অনুগত সরকারি কৌশলীদের (পিপি) অপসারণ করা হলেও, চট্টগ্রামে এই তিন আইনজীবী বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা দুদকের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর কাজে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন।

চট্টগ্রামে দুদকের পিপি হিসেবে থাকা এই তিন আইনজীবীর পরিচয় ও কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।

এডভোকেট কাজি সানোয়ার হোসেন লাভলু

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত কাজি সানোয়ার বর্তমানে দুদকের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমর্থিত সমন্বয় আইনজীবী পরিষদের সক্রিয় নেতা তিনি। বেশ কয়েকবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন চেয়ে আলোচনায় ছিলেন।

এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী

তিনি ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমানও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমর্থিত সমন্বয় আইনজীবী পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য। এডভোকেট মাহমুদুল হক (মাহমুদ) মাহমুদুল হক ২০০৯ সালে স্বৈরাচারী সরকারের সময় দুদকের পিপি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর থেকে এখনো তিনি সেই দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ বিভিন্ন সময় তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।

চট্টগ্রামের একাধিক আইনজীবী অভিযোগ তুলেছেন, দেশের অন্যান্য জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীদের অপসারণ করা হলেও চট্টগ্রামে এই তিনজন নানা কৌশলে তাদের দায়িত্ব ধরে রেখেছেন। তারা মামলার প্রক্রিয়া ও শুনানিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অবস্থার কারণে আদালতে ন্যায়বিচারের পরিবেশ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, দলীয় আনুগত্যের কারণে এই তিনজনের বহাল থাকা চট্টগ্রামের আদালতে ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের অভিযোগের পরও কীভাবে তারা এখনো বহাল রয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আদালত ও আইনজীবী মহলে এ নিয়ে সমালোচনা দিন দিন বাড়ছে।

 

বায়ান্ন/এসএ