উপকুল দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েক দিনের বৃস্টি ও জলোচ্ছাসে রক্ষা পেলো ভোলার কয়েকটি চরের শত শত মহিষ। বিগত সময়ে ঝর জলোচ্ছাসে অনেক মহিষই ভেসে জেতো পানির তোড়ে। কিন্তু এবার চরের মহিষ গুলো আশ্রয় নিয়েছে চরে গড়ে উঠা দৃস্টি নন্দন আধুনিক কিল্লায়। এধরনের আধুনিক কিল্লা দেশের মধ্যে ভোলায়ই প্রথম বলে জানাযায়।
মহিষ বাথানিয়া মোঃ রিয়াজ, মোঃ শরিক জানান, বিগত সময়ে তারা মাটি দিয়ে উচুকরে মাটির কিল্লার চারপাশে সুপারি গাছ দিয়ে গোলক বৃত্তের মধ্যে মহিষ রাতে আটকে রাখতো তখ নপানিতেই ভেসেথাকতো মহিষ। অনেক সময় পানির স্রেতে ভেসে যেত তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা দামের মহিষ, অপরিচ্ছন্য এবং অসাস্থ্যকর পরিবেশে লালন পালন করতোত তাদের মহিষগুলো। বর্তমানে বেশ কয়েকটি চরে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত কিল্লা নির্মিত হওয়ায় এবার তাদের কোন কস্ট হয়নি। পুরো জোয়ারের মধ্যে মহিষগুলো আধুনিক কিল্লায় উঠিয়ে রাখা হতো এবং স্বাসস্থ্যসম্মত ভাবে ঔই কিল্লায় নানান আধুনিক ব্যাবস্থায় রাখা হয়েছে। যা স্বপ্নেও ভাবেনি তারা। প্রতিটি কিল্লায় আশ্রয় নিয়েছে প্রায় পাচশতাধিক মহিষ।
মহিষ বাথানিয়া রেজাউল, বাশার মাঝি ও ইব্রাহীম জানান, মহিষের সাথে তাদেরও¯ ^াস্থ্যকর পরিবেশে থাকার ব্যাবস্থা রয়েছে কিল্লায়। রয়েছে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যাবস্থা। অন্যদিকে লাগানো হয়েছে বজ্র নিরোধকযন্ত্র। যে কারনে আমাদের এবং মহিষের চরে থাকায় কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। চরের মধ্যে এমন দৃস্টি নন্দন স্থাপনা আগে কখনই দেখেনি বাথানিরা। তারা আরো জানান, কিল্লার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি পশুসুরক্ষায় তারা নিয়মিত চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছেন বিনামুল্যে।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এসইপি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলার ভেদুরিয়ার চর চটকিমারা, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর চন্দ্র প্রসাদ ও চরমুন্সিতে মোট তিনটি আধুনিক কিল্লা নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন। যা ভোলাতেই প্রথম বলে জানান গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিরচালক জাকির হোসেন মহিন। গুরুত্ব বিবেচনায় আরো কিল্লা নির্মান কাজটি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার এসইপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডাঃতরুন কুমার পাল জানান, কেবল মহিষ ও মহিষ বাথানিয়াদের কথা চিন্তাকরে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সাথে রয়েছে বিনামূল্যে মহিষের চিকিৎসা সেবা। এ ছাড়াও আশ-পাশের জেলেরাও দুর্য়োগপুর্ন অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারবে কিল্লায়।