জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের আয়োজনে বিজকেস-২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতা বিজকেস একটি ন্যাশনাল ইভেন্ট যেটি ২০২০ সালে শুরু হয় কিন্তু করোনার জন্য স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠানটির কার্যক্রম আবার শুরু হয়। প্রতিযোগিতাটি সারা বাংলাদেশ থেকে ৫৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৭০টি টিম অংশগ্রহণ করে।তিনটি রাউন্ডের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৯ মার্চ) বিজকেসের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর দে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন " বাংলাদেশে এখনো অনেকে বলে থাকে-আমি বেকার, কাজের ক্ষেত্র নেই। সেটি আমি বিশ^াস করি না। বরং আমি যদি দক্ষ হই, কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে অবশ্যই তার চাকরি আছে, কর্ম আছে। কিন্তু অদক্ষ মানুষের কর্ম নাই এ কথাটি সত্য। তিনি বলেন, সুদক্ষতা ছাড়া একজন মানুষ তার কাজে সফল হতে পারেন না। জ্ঞানই যদি সবচাইতে বড় হত তাহলে একটি লাইব্রেরি সবচাইতে শক্তিশালী হত। কিন্তু লাইব্রেরি একটা প্লাটফর্ম। সেখানে জ্ঞান থাকে। সেই জ্ঞানটি অর্জন করতে হয়। সেই অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হয়। জ্ঞানের আধার থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। জ্ঞান গ্রহণ করে সেটি শুধু নিজের মধ্যে রাখলেই চলবে না, সে জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
প্রতিযোগীতার ফলাফল ঘোষিত হয়েছিল ২৬শে ফেব্রুয়ারি( শনিবার)। বিজয়ী টিম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে টিম গেইমপ্লান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস, প্রথম রানার্সআপ হিসেবে জয়ী হয়েছে টিম ব্রোমোসাপিয়ানস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় রানার্সআপ হয়েছে টিম আনসলভড, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, আমরা মনে করি বিশ^বিদ্যার চর্চা হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ। একইসঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাও বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ। বিশ^বিদ্যালয় সুশিক্ষিত, সুদক্ষ, চরিত্রবান এবং কল্যাণকামী মানুষ তৈরি করবে। আমরা আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেই মটোকে সামনে রেখে কাজ করছি।
আমরা শুধুই সার্টিফিকেট দেব না, বরং সার্টিফিকেটের পাশাপাশি তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। আমরা প্রত্যেকটা ছেলেমেয়েকে দক্ষ করে গড়ে তুলে বাজারে পাঠাতে চাই। যার অস্ত্র হবে এই বিশ^বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, যার অস্ত্র হবে দক্ষতা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. তপন কুমার সরকার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের উপদেষ্টা আলভী রিয়াসাত মালিক, চন্দন কুমার পাল, আরিফ আহমেদসহ অন্যরা।
বিজকেস প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.এম.সাদিকুল ইসলাম, ফিন্যান্স বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড.মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড.এফ এ ভি পি ব্রান্ড মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড, পারভেজ হোসাইন, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, সোআপ,শিকদার আখতার -উজ-জামান, হেড অফ মিডিয়া এন্ড স্পন্সরশীপ, গ্রামীণফোন লিমিটেড, চন্দন কুমার পাল, সহকারী অধ্যাপক, ফিন্যান্স বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।