দফায় দফায় বেড়েই চলছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। এতে করে সাধারন জনগণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়সীমার বাহিরে চলে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪, পেট্রলে ৪৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা দাম বাড়িয়েছে সরকার।
এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে সরকার। শুক্রবার রাত ১২টার পর এই দর কার্যকর হয়। এরই প্রতিবাদে শনিবার মূল্যবৃদ্ধি বাতিলের দাবীতে গাইবান্ধায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নাগরিক মঞ্চ। শনিবার দুপুরে শহরের গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক ও জেলা বারের সাধারন সম্পাদক এ্যাড: সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু,ছাপড়হাটি এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদ মাষ্টার, এ্যাড: মোহাম্মদ আলী প্রামানিক ও এ্যাড: ফারুক কবীর সহ অনেকে।
বক্তারা জানান- সরকার গভীর রাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে সংকট সৃষ্টি করেছে। মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করে তেলের দাম পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার দাবী জানায়। অন্যথায় আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করবেন বলে ঘোষনা দেন।
অন্যদিকে- সরকারের এই মূল্যবৃদ্ধির ঘোষনায় নিদিষ্ট সময়ের আগেই অনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে গা ঢাকা দেয় গাইবান্ধা শহরের দাড়িয়াপুর রোডস্থ কদমতলায় অবস্থিত গাইবান্ধা ফিলিং ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে রাত ১২ টার আগে তেল ক্রয় করতে যাওয়া ক্রেতাদেরকে তেল ক্রয় না করেই ফিরে আসতে হয়েছে। কয়েকজন ভুক্তভোগী ক্রেতা জানান- তেলের দাম মূল্যবৃদ্ধির নিদিষ্ট সময়ের আগেই অনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে ফিলিং ষ্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাইট অফ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে দাম হয়েছিল ৮০ টাকা লিটার। তার আগে এই দুই জ্বালানি তেলের দাম ছিল লিটারে ৬৫ টাকা।