ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর নারান্দিয়ায় চেয়ারম্যান হয়েই ১০ হাজার মানুষের কষ্ট দূর করলেন

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৫৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
জনগনের সেবাই জনপ্রতিনিধির মূল ধর্ম। চেয়ারম্যান হয়েই ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের কষ্ট দূর করলেন মাসুদ তালুকদার। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই তিনি নিজ অর্থায়নে লৌহজং নদীর উপর কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। এই ইউনিয়নে গত (২৮ নভেম্বর) ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, নারান্দিয়া ইউনিয়ন এবং এলেঙ্গা পৌরসভার সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘড়িয়া। গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লৌহজং নদী। নদীর এপার ওপারে শেরপুর, মিরপুর, ঘড়িয়া, পোষণা, দেউলাবাড়ী, নাগা, তাঁতিহারাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের বসবাস। যুগের পর যুগ এখানকার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হয়েছেন। এছাড়া এলাকায় তৈরি হয় বাঁশজাত বিভিন্ন পন্য। এ পথে মালামাল কেনাবেচা ও  পরিবহন করা যেতো না। জরুরী সময়ে অসুস্থরা চলাচল করতে পারতেন না। আওয়ামী লীগ মনোনিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘড়িয়া গ্রামে লৌহজং নদীর উপর ১৩০ ফুট লম্বা কাঠের সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এক লাখ টাকার সেতুটি নির্মাণে সিংহভাগই দিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাকিটুকু বহন করেছে গ্রামবাসী। 
নাগা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওযামী লীগের সভাপতি হুরমুজ আলী তালুকদার বলেন, মাুনষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করলেন নতুন চেয়ারম্যান। তিনি দানশীল একজন মানুষ হিসেরে এলাকায় সুপরিচিত। ঈদ, দূর্গাপূজা ও শীতকালে তিনি গরিব দুখি মানুষের মধ্যে বস্ত্রসহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। ঘড়িয়া গ্রামের ইমান আলী বলেন, আমরা ভ্যান, রিকশা ও অটো নিয়ে গ্রামে চলাচল করতে পারতাম না। কি যে অসুবিধা হতো বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে, সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। সুন্দর ও মজবুত কাঠের সেতু পেয়ে আমরা খুব খুশি। স্থানীয় দোকানদার আজম আলী বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই নিজের টাকায় এমন কাজ অন্য কেউ করেছেন কি না সেটা আমার জানা নেই। তবে কাঠের তৈরি এই ব্রিজের দু’পাশে রেলিং থাকলে আরো ভাল হতো।
 
এ বিষয়ে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলেন, জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি জনগনের সেবা করতে এসেছি। সরকারি বরাদ্দ পেয়ে সেতুটি নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগবে। বৃহৎ জনপদের কষ্টের কথা ভেবে সেতু নির্মাণে গ্রামবাসীর সাথে আমিও অংশগ্রহণ করেছি। মানুষের সাথে আছি। তাদের দুঃখ কষ্ট দূর করতে আমার প্রচেষ্টা সর্বদা চলমান থাকবে।