ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে নেশার টাকা না দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৫৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সুমাইয়া (২১) কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রুবেলের বিরুদ্ধে।  মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলা পৌর শহরের ঘাটান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার ও তার স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।  

রুবেল ঘাটাইল উপজেলার গোরিশ্বর গ্রামের শুক্কর আলীর ছেলে ও সুমাইয়া গোপালপুর উপজেলার বরশিলা গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

সুমাইয়ার বাবা ইউসুফ ঢাকার একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করে এবং ভূঞাপুর ঘাটান্দী গ্রামের সুমাইয়ার বাসার পাশেই বাসা ভাড়া করে থাকতো।

বাসার মালিক তারা তালুকদার জানান, আমার বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই তারা মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতো। মঙ্গলবার রাতে আমি বাসা এসে জানতে পারি রাত ১০ টার দিকে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হয়েছিল।  পরে রাত ২ টা সময় রুবেলের ডাক-চিৎকার শুনে বাহিরে বের হই। তখন রুবেল জানায় তার স্ত্রী মারা গেছে। রুবেলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনদের জানাই। তারা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

স্থানীয়রা জানান, একমাস আগে ঘাটান্দীর গ্রামের চা দোকানী তারা তালুকদারের বাসা ভাড়া নেয় তারা। বাসায় ওঠার পর থেকেই দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সুমাইয়া অন্যের বাসা-বাড়ীতে কাজ করতো। এছাড়া তার স্বামী রুবেল হোটলে কাজ করতো। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা শিশু সন্তান রয়েছে।

সুমাইয়ার মা শারমিন বেগম বলেন, রুবেল বিভিন্ন হোটেলে কাজ করতো। সে একদিন কাজ করলে দুইদিন বসে থাকতো ও রুবেল যা রোজগার করতো তা দিয়ে সে নেশা করতো। সুমাইয়া অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিল। নিয়মিত কাজ করতে বলা ও নেশা করতে বাধা দেওয়ায় সুমাইয়ার সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। 

তিনি আরও জানান, পরে বুধবার নেশার টাকা না থাকায় রুবেল নেশার টাকার জন্য সুমাইয়াকে চাপ দেয়। একপর্যায়ে মারধরও করে সে। টাকা না দেয়ায় সুমাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে আমার ধারণা। 

 

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । তার স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুমাইয়ার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।