ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ ০২:১৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
টেন্ডার ছাড়াই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার রাস্তার সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
 
শনিবার বিকালে কোটপাড়া গ্রামের রাস্তায় গাছ কাটা অবস্থায় সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ ফেলে পালিয়ে যায় কাঠমিস্ত্রি ও তার লোকজন। 
 
জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে আমজানখোর ইউপি কার্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোটপাড়া গ্রামের রাস্তায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন ওই এলাকার সাইফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি। কয়েকদিন আগে রাস্তার প্রায় ৩০০ গাছ আড়াই লাখ টাকা কিনে নেন ওই এলাকার আজিজুল ইসলামে এক ব্যবসায়ী। শনিবার সকাল থেকে মিস্ত্রি দিয়ে সেই গাছ কাটতে গেলে স্থানীয় লোকজন ইউএনও কে খবর দেয়। ইউএনও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) কে পাঠালে গাছ কাটা বন্ধ করে কয়েকটি গাছের টুকরো ফেলে পালিয়ে যায়। 
 
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সীমান্তের মন্ডুমালা বিশেষ ক্যাম্পের সামনে রাস্তার পাশে ৫/৭টি রাস্তার কাটা গাছ ফেলে রাখা হয়েছে। তবে গাছের মালিক ও গাছের ক্রেতাকে তাৎক্ষনিক খুজে পাওয়া যায়নি। 
 
গাছ লাগানো মালিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। 
 
কোটপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই একটি চক্র রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে। শুধু কোটপাড়া রাস্তার গাছ না, আশেপাশের আরও কয়েকটি রাস্তার গাছ এভাবে রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। 
 
জানতে চাইলে আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকালু (ডংগা) জানান, ইউপি কার্যালয়ের সকল মেম্বারদের নিয়ে রেজুলেশন করে ওই গাছগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আড়াই লাখ টাকা আজিজুলের নিকট গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এখন শুনতেছি টেন্ডার ছাড়া গাছগুলো কাটা যাবে না। এত নিয়ম আমার জানা নেই। তবে গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, ইউপি কার্যালয়ের এ নিয়ে কোন সভা হয়নি। তাছাড়া ৩০০ গাছের মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। আড়াই লাখ টাকায় এ গাছ বিক্রি করা হয়েছে। গাছগুলো ন্যার্য মূল্যে বিক্রি করলে ইউপি কার্যালয়ে ২৫ ভাগ হিসেবে অনেক টাকা পাবে। 
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, রাস্তার গাছ কাটা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে তহশীলদারকে পাঠিয়েছিলাম। কিছু গাছ কেটে ফেলে পালিয়েছে লোকজন। নিয়ম না মেনে টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।