বৈশাখ আসলে গ্রামে-গঞ্জে শুরু হয় বিভিন্ন পালা গান ও মেলা আসর। বিশেষ করে সনাতন ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে পূজার পাশাপাশি মেলা আয়োজন করা হয়। এই মেলা গুলি একেকটি শত বছরের পুরাতন তেমনি একটি মেলা জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ইছামতি মেলা। এটি জোরারগঞ্জ বাজারের পশ্চিম পাশে গোবিন্দপুর গ্রামে একটি ইছামতি মায়ের মন্দির, পাশে একটি ছড়া যার নাম ইছামতী মন্দিরের সামনে হয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পাশের মাঠে বসে বিশাল মেলা। এই মেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীরা আসেন পূজা দিতে পাশাপাশি হিন্দু মুসলিম বুদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মেলায় শিশুদের নিয়ে আনন্দ ও কেনাকাটা করতে আসেন।
মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে আলোকসজ্বার আয়োজন করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্রের মধুর শব্দে পুরো মেলা প্রাঙ্গনে এক উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রায় সব ধর্মের লোকের সমাগম ঘটে মেলায়। সারা দিন চলে পূজা অর্চনা। মেলায় দেশ বিদেশের হাজার হাজার দর্শনাথী ছুটে আসে। অনেকে নিয়ত করে মন্দিরের পাশে অবস্থিত বট গাছের গায়ে সূতো জড়িয়ে দেয়।
প্রতিবছর বৈশাখের ৬ তারিখে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারেও ইংরেজি ২০ এপ্রিল যথারীতি ইছামতী মেলা কাল বৈশাখী ঝড় কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দর্শনার্থী এবং দোকানির। সারাদিন কয়েক ঘণ্টা রোদ কয়েক ঘন্টা বৃষ্টির মাঝে বৃষ্টি ভেজা মেলা চলে।
মেলার প্রবীণ কর্মকর্তা বাবু কালু কুমার দে বলেন এটি মিরসরাইয়ের একটি শতবর্ষী মেলা এখানে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন হিন্দুরা তাদের পূজা করেন অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পণ্য কেনাকাটার জন্য ও ঘুরতে আসেন।
মেলায় ফার্নিচার বিক্রিতা দিলীপ সূত্রধর বলেন এখানে মেলায় ভালো বিক্রি হয় প্রতিবছরই আসি কিন্তু এবার বৃষ্টির জন্য আমরা তেমন সুবিধা করতে পারেনি আমাদের মালামাল সব ভিজে গেছে তবে আগামীকাল রোদ থাকলে সব বিক্রি হবে।
মেলায় ঘুরতে আসা গোবিন্দপুর এলাকার জামাই বাবুল দাস বলেন আমি প্রতিবছর ইছামতি মায়ের মেলাতে আসি আমার খুব ভালো লাগে ছেলে মেয়েরা অনেক আনন্দ পায়।
ইছামতি মেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সুমন দত্ত বলেন, ইছামতি মেলাটি প্রায় ২শত বছর ধরে চলে আসছে। প্রত্যেক বছর কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়া আমরা মেলা পরিচালনা করে থাকি। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সবাই সহযোগীতা করে থাকে।