ঢাকা, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থাপনা ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:১২:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সম্প্রতি গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘওে হামলা ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার করে  দুষ্টান্তমূলক শান্তির দাবীতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

শনিবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের আলতাব উদ্দিন স্কয়ার(ট্রাফিক পয়েন্টে) এ মানববন্ধন কর্মমসূচী পালিত হয়। এতে বিভিন্নস্তরের ধর্মীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ সভাপতি এড. গৌরাঙ্গপদ দাসের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিন্টু রঞ্জন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ সভাপতি আরতি তালুকদার কলি,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,চন্দন কুৃমার রায়,সন্তোষ রায়,চন্দন দাস,বিধান দাস,রবি বণিক,শুভব্রত বসু,বিপ্রেশ রায়,প্রদীপ কুমার চৌধুরী,শংকর বণিক,সজল রায়,জয়ন্ত বণিক,মতিলাল চন্দ,চমক সেন,শ্যামল কান্তি রায়,সন্তোষ দাস,মলি রায়,রুপালী সোম,বিপুল ভট্রাচার্য্য,শিশির তালুকদার,বিভা রায় ও কাজল চন্দ সহ আরো অনেকেই। 

 

নেতৃবৃন্দরা বলেন,১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ ও খ্রির্ষ্টাণসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্টির সাড়ে সাতকোটি মানুষ দেশ মাতৃকার মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে  অংশগ্রহন করেছিলেন। তৎকালীন সকল ধর্মের ত্রিশলাখ শহীদ ও দু”লাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলাদেশটি। 

 

সংবিধান ও গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি ছিল দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমান মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নিজ নিজ ধর্মকর্ম স্বাধীনভাবে পালন করা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময় নির্বাচন বলেন আর যেকোন ফেইসবুকের স্যাটার্টকে কেন্দ্র করে বলেন দেশের বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘুদের মন্দির, গির্জায় ও উপসানালয়ে একশ্রেণীর ধর্মান্ধরা ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িঘরে হামলা,অগ্নিসংযোগ,নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতনসহ সবধরনের অপরাধ সংঘটিত করা হয়। থানায় মামলা হলেও অপরাধকারীরা কিভাবে পার পেয়ে যায় তা বোধগন্য নয়। 

 

সম্প্রতি নির্বাচনের পর গত ৮ জানুয়ারী কুষ্টিয়া,কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে মন্দিরে ও অষ্টপ্রহর কীর্তনে হামলা চালানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দরা এমন ন্যাক্কারজনক হামলা ভাংচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই সমস্ত ধর্মান্ধগোষ্টির যারাই হামলার সাথে জড়িত রয়েছেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানান। অন্যতায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতৃবৃন্দরা।