সিলেটের ওসমানীনগর থানার সাদিপুর ইউনিয়নের ধরখা গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার গত ১০ দিন ধরে পানিবন্দি। এই গ্রামের প্রায় সবাই আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় আওরঙ্গপুর টাইটেল মাদরাসার আশ্রয় কেন্দ্রে। ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এসব পরিবার নিজ ঠিকানায় ফিরতেও পারছেন না। পানি না কমায় এসব পরিবার ওই আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছেন অনিশ্চয়তার মাঝে। চরম দুর্ভোগের এই সময়ে ওইসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী দুইটি পরিবার। এই দুইটি পরিবারের সহযোগিতায় প্রতিদিনই ওই আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এই খাবার বিতরণে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিক জুবের আহমদ।
দৈনিক বায়ান্নকে জুবের আহমদ জানিয়েছেন, ২০ জুন থেকে ধরখা গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। শুধু ধরখা গ্রাম নয় সাদিপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেন স্থানীয় যুব সমাজ। পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে।
জুবের জানান, ২১ জুন থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে। ধরখা গ্রামের পানিবন্দি মানুষকে সহায়তায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় দুইটি ঐতিহ্যবাহি পরিবার। এই পরিবার দুইটি হচ্ছে সৈয়দ আওরঙ্গ চৌধুরী ও সৈয়দ সাজ্জাদ হায়াত চৌধুরীর পরিবার।
তিনি জানান, এই দুইটি পরিবার পানিবন্দি মানুষের জন্যে রান্না করা খাবার সরবরাহে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। খাবার সরবরাহ করার পাশপাশি নগদ অর্থ ও কাপড়ও বিতরণ করা হচ্ছে ওই দুইটি পরিবারের সহযোগিতায়। আজ ৩০ জুনও আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়। তিনি জানান, পরিবার দুইটির উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত।