শীতের প্রথম দিকেই সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে আসছে নানা ধরণের শাক-সবজি। দামও অনেকটা কম। কিছুদিন আগেও ছিল তিনগুণ। বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসায় মানুষজনের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। বাজার ঘুরে-ঘুরে পছন্দের শাক-সবজি কিনছে ক্রেতারা। শীত পরায় এখন শাক-সবজি থেকে মজা এবং এ শাক-সবজি মেটাচ্ছে দৈনিক পুষ্টির চাহিদা। তবে, বিভিন্ন মসলা জাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম স্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাঁট-বাজারে দেখা গেছে শীতকালীন নানা ধরণের শাক-সবজি। বিভিন্ন বিক্রেতারা শাক-সবজি দিয়ে দোকানগুলো সাঁজিয়েছে। দেখতেও সুন্দর লাগছে। এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি খেত ঘুরে দেখা যায় শাক-সবজির আবাদও অনেক ভালো হয়েছে।
বিভিন্ন শাক-সবজি লাল শাক ১৫, লাউ শাক ২০, পালং শাক ৩০, মূলা শাক ১৫, সরিষার শাক ২০, ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৬০, করলা ৪০, লাউ ২৫, শীম ৩৫/৪০, বেগুন ৪০, নতুন আলু ৬০, গাছ পেঁয়াজ ৩০, পেঁপে ১০, ধুন্দল ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০-১২ দিন আগেও যার দাম ছিল তিনগুন। শীতকালীন সময়ে দাম কমে আসায় এখন চাহিদা অনুয়ায়ীই কিনছেন ক্রেতারা শাক-সবজি। তবে কাঁচা টমেটো ও গাঁজরের দামটা বেশি।
ধনবাড়ী উপলেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতাও করা হচ্ছে।’
ধনবাড়ী বাজারে শাক-সবিজ কিনতে আসা পাবেল আহমেদ ও জুয়েল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করছে। এটি কৃষি প্রদান এলাকা। কৃষি কাজের পাশাপাশি সবাই শাক-সবজির আবাদ করে। বাজার থেকে চাহিদা মত শাক-সবজি কিনে নিয়ে গেলাম।‘
বাজারে মাছ নিতে আসা দেলোয়ার রহমান জানান, বৃদ্ধ বাবা বড় মাছ দিয়ে লাউ খেতে চেয়ছিল। এজন্য সাতশত টাকায় রুই মাছ ও দুই লাউ ৫০ টাকায় নিয়ে যাচ্ছি। কিছু দিন আগেও দুটি লাউয়ের দাম ছিল ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আহম্মেদ আলী জানান, আমি ১ বিঘা জমিতে শীম আবাদ করেছি। এছাড়াও অন্য জাতের সবজি আবাদ করেছি। কিছু দিন আগে দাম বেশি ছিল। এখন যে দাম পাচ্ছি মোটামোটি ভালো। আশা করি এ বছরও সাম্বলম্ভি হতে পারবো। অপর কৃষক আসাদুজ্জামান চাঁন মিয়া জানান, আমি উন্নত জাতে ১ বিঘা জমিতে ইসলামপুরী জাতের বেগুন করেছি। দাম ভালো পাচ্ছি।
সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম ও কাদের শেখ বলেন, বর্তমানে বাজরে শাক-সবজির দাম অনেক কমে গেছে। পাইকারীভাবে এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করে বিক্রি করি। দাম কমায় ক্রেতারাও যার-যার ইচ্ছে মত কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এ উপজেলাটি মূলত কৃষি প্রধান। ধান চাষের পাশাপশি কৃষকরা সকল ধরনের শাক-সবজি আবাদ করে থাকে। আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’