মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিন সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই মাছ শিকারে নেমেছেন ৫১ হাজার ১৯০ জন জেলে।
মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার ও জাল নিয়ে নদীতে ছুটেছেন জেলেরা। এতে জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এখনও প্রণোদনা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক জেলে।
এদিকে মৎস্য বিভাগ দাবি করেছে, চলতি বছরের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, এবারের অভিযান সফল হয়েছে। তাই ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি।
নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এবার অভিযান চালানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতিটি প্যারামিটারে এগিয়ে রয়েছি। এবারের অভিযানে ১২৭ কোটিরও বেশি কারেন্ট জাল, সাড়ে ৪২ হাজার কেজি ইলিশ মাছ, ৪০০ মামলা এবং সাড়ে চার হাজার অসাধু জেলেকে আটক করা হয়। প্রত্যাশা করি, এ বছর ইলিশের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের ছয়টি স্থানকে ইলিশের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করে সরকার। এ সময় নদীতে যেকোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরের নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার।