ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অশ্বদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নোয়াখালী সদরের অশ্বদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ নিয়োগ ও ছাত্রীদেরকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলীয় এমপি (একরামুল করিম চৌধুরী) এর আশীর্বাদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন। ক্ষমতার দাপটে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে নানা রকম হয়রানি, ইভটিজিং অবৈধ অর্থ আদায় ও পাঠদান থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়। শিক্ষক ফারুক হোসেনের চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে তিনি বিভিন্ন সময় ছাত্রীদেরকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারে কুপ্রস্তাব দেন। 

তিনি অবৈধভাবে সম্পূর্ণ দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা সহকারী প্রধান হয়েছেন। অবৈধ সহকারী প্রধান থাকা সত্ত্বেও তিনি বিগত প্রায় ২০ বছরের অধিক সময় বিদ্যমান প্রধান শিক্ষক/প্রিন্সিপালকে সম্পূর্ণ হাস্যকর ভাবে নোটিশ করে বরখাস্ত করার ব্যবস্থা করবেন বলে হুমকি দেন এবং নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবী করেন। তিনি ছাত্রীদের শিডিউলে থাকা ক্লাস করাচ্ছেন না। শিক্ষক এবং ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। 

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে প্র্যাকটিকেল মার্কস বা ফাইনাল পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় কারেন। শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি- ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদীদের পক্ষ অবলম্বন করে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্র এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির নির্বাচনের সময় নিজস্ব প্যানেল দেন এবং বিধি বহিভূত ভাবে শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্যের পক্ষ হয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান এবং প্রতিষ্ঠানে বিভেদ সৃষ্টি করেন। বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করেন। 

তিনি ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে মোবাইল ফোনে কথা বার্তা ব্যস্ত থাকেন। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল করিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানে এস কিছুক্ষন থেকে চলে যান। অষ্টম শ্রেণীসহ বিভিন্ন ক্লাসে না গিয়ে অফিসে বসে থাকেন। ছাত্রীরা ক্লাসে ডাকলে তাদের সাথে অসৎ আচরণ করেন। 

রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি দেন। ছাত্রীদের সামনে অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার বহিষ্কারের দাবিতে স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে ১০ নভেম্বর দুপুর ১২ টা পোষ্টার, পেষ্টুন ও ব্যানার লাগিয়ে আন্দোলনে নামে। এসময় বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ। 

 

বায়ান্ন/এসএ