ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১
শার্শায় টানা বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাজ কয়েক হাজার চাষির

কৃষকের স্বপ্ন পানির নীচে

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৪৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

যশোরের শার্শা উপজেলায় মাঠে মাঠে চলছে পাকা আমন ধান কাটার ধুম। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক। অনেকের জমির ধান কাটা শেষ হলেও এখনো ঘরে তোলা সম্ভব হয়নি। টানা তিন দিন বৃষ্টির কারণে ডুবে গেছে উঁচু নিচু সব জমির ধান। বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাজ নেমে এসেছে কৃষকদের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশষ্কায় জেলার কয়েক হাজার চাষি। 

এসব চাষিরা বলছেন গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে তাদের আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং এভাবে যদি বৃষ্টি চলমান থাকে তারা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় আমনের আশানুরুপ ফলন হয়েছে। কয়েকদিন ধরে সোনালি আমন ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষাণ-কৃষাণীরা। আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলার কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্থু বৃস্টিতে মাঠে থাকা শুকনো ধান এখন পানির নীচে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠের অধিকাংশ জমির ধান এখনো মাঠে রয়েছে। অনেকেই ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে ধান বাঁধছেন কৃষাণরা। সেই সাথে পাওয়ার টিলার গাড়িতে করে মাঠ থেকে ধান বাড়িতে আনার কাজ করছেন কৃষকরা।

শার্শা উপজেলার নিজামপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২ বিঘা জমিতে এবার আমন ধানের চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে ১ বিঘা ৮ কাঠা বাড়িতে আনা হয়ে গেছে। ১২ কাঠা জমির ধান বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

একঝালা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম শুকুর বলেন, ১৭ কাঠা জমির ধান ভেজা অবস্থায় মুঠো বেঁধে গাদা করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছ। আবহাওয়া ভালো না হলে আনা সম্ভব হবে না। ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি, সব ধানই মাঠে পড়ে আছে। 

পাকশিয়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান জানান, ২ বিঘা ধান কাটা শেষে এখনো বাড়িতে আনতে পারিনি। টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে ডুবে আছে জমির ধান। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল বলেন, আগামী দুই তিন দিন আবহাওয়া না দেখে বর্তমান ক্ষতির পরিমাণটা বলা যাচ্ছে না। তবে বেশির ভাগ চাষিরা ধান ঘরে তুলেছেন এবং কিছু সংখ্যক চাষিরা নিজেদের অবহেলার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।