টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে লায়লা বেগম (২৬) নামের এক নারীকে মারপিট করার পর গাছে বেঁধে রাখে প্রতিপক্ষরা। পরে ৯৯৯ এ ফোন করার পর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। বুধবার সকালে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বলছেন কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমনটা হয়েছে। অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
লায়লা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন সম্পর্কে আমার মামা হন। আমার স্বামী বিদেশ যাবার পর থেকেই সে তাঁর এক বন্ধুকে দিয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ওরা দুইজনে গত ৪ এপ্রিল সেহরি রান্নার জন্য সময় ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তখন আমার চিৎকারে ওরা পালিয়ে যায়। এতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফের স্ত্রী বোনেরা আমার ও সন্তানদের ওপর আক্রমণ করে আমাকে গাছে বেঁধে রেখে চলে যায়। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিবো। এর বিচার চাই। লায়লার স্বামী সৌদী প্রবাসী। সে ৩ সন্তানের জননী।
ভুক্তভোগী লায়লা আরও বলেন, মোশারফ মেম্বার অনেক শক্তিশালী। তাকে এলাকার সবাই ভয় পায়। ও অপরাধ করলেও বিচার হয় না।
ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের সাথে লায়লাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। মামলা মোকাদ্দমাও হয়েছে। মা কাঁঠাল পারতে গেলে লায়লা বাঁধা দেয়। শুনেছি পরে মহিলারা ওকে গাছে বেঁধে রাখে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে কুপ্রস্তাবের বিষয়টি সঠিক নয়।
মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ভালো চরিত্রের মানুষ। বাড়ি জায়গার লোভেই লায়লা নিজেই এ ঘটনা করেছে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ৯৯৯ এ কল থেকে ঘটনা জানা মাত্রই আমাদের অফিসার ও ফোর্সরা তাঁকে উদ্ধার করেন। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।