প্রাথমিকে বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবে। এদের মধ্যে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পাচ্ছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, যা আগে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাচ্ছে ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
উপজেলা/থানার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়েছে। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ১৪৫টি ইউনয়িন/পৌরসভা ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬টি (৩ ছাত্র ও ৩ ছাত্রী) হিসেবে ৪৮৮৭০টি এবং অবশিষ্ট ৬৩০টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানায় ১টি করে ৫১৩টি উপজেলা/থানায় ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল হতে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও ২০১৫ সাল থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে এ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া উভয় ধরণের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হচ্ছে।
যেভাবে ফল জানা যাবে
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।