শ্রম অধিদপ্তরাধীন “৬টি অফিস পুন:নির্মাণ ও আধুনিকায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র বগুড়ার নবনির্মিত ভবনসহ সারাদেশের মোট ৮টি স্থাপনার একযোগে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সস্প্রচারের মাধ্যমে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় চকসূত্রাপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র বগুড়ার নব-নির্মিত ৩ তলা ভবনের ফলক উন্মোচন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক।
রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বগুড়া জেলা প্রশাসক বলেন, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষদের অন্তর দিয়ে ভালবাসতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মনে রাখতে হবে, শ্রমিকদের শ্রমেই সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিসমূহ পূরণের মাধ্যমে তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে নানামুখী ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শ্রম দপ্তরের মাধ্যমে তাদের সঠিক মজুরি প্রাপ্তি, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রাপ্তি, মালিকপক্ষের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন সাধনসহ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সদা সংবেদনশীলভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার যা সত্যিই প্রশংসনীয়। গণমাধ্যমকর্মী ও যুব সংগঠক সঞ্জু রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, গণপূর্ত বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ,এইচ,এম শাহরিয়ার, টিএমএসএস বগুড়ার নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম, বগুড়া জেলা শ্রমিকলীগ এর সভাপতি আব্দুস সালাম, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ, আকবরিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বাবলু। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মাকছুদা বেগম, শ্রম কর্মকর্তা শরিফুর রহমান, শ্রম কল্যাণ সংগঠক যথাক্রমে জিন্নাতুন জোহরা ও উম্মে আশরাতুন তাজলিন, গোলাম রব্বানী, সাবিনা ইয়াসমিন, ছামিয়া খাতুনসহ শ্রম দপ্তর এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌরসভার জনপ্রতিনিধি, শ্রমিক, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।