বাঁশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম নেয়াজরপাড়া এলাকায় আরব আমিরাত প্রবাসী হাফেজ আইয়ুব আনছারী ও মুফতি জামাল উদ্দিনের বসতভিটার নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়া ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে দুইশত ব্যাগ সিমেন্ট, লোহার রড ও মালামাল নষ্ট করার পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী লুট করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) গভীর রাতে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে ওই প্রবাসীর ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন ও রায়হানের নেতৃত্বে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী হাফেজ আইয়ুব আনছারী। এই বিষয়ে বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহমুদুল ইসলামের পিতা জামশেদ সওদাগরের কাছ থেকে পৌরসভার উত্তর জলদী ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় ৮শতক জায়গা কিনে সেখানে বসতবাড়ি করার প্রস্তুতি নেন আরব আমিরাত প্রবাসী ভাদালিয়া এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে হাফেজ আইয়ুব আনছারী ও তার ভাগিনা মুফতি জামাল উদ্দিন। ভাদালিয়া থেকে এসে জলদীতে জায়গা কিনে বসতভিটা করায় একটি সিন্ডিকেট ওই প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জামাল, আলাউদ্দিন ও রায়হানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বসতভিটার নির্মাণাধীন ভাউন্ডারী ওয়াল ভেঙে ফেলে। এসময় বাঁধা দিলে কেয়ারটেকার মোস্তফা আলী (৪৫)কে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। ভাংচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি প্রায় দুই শত ব্যাগ সিমেন্ট কেটে এবং ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে। এতে ওই প্রবাসীর ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ নোমান জানান, স্থানীয় হিসেবে প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগ নেতা জামাল বিএনপির কিছু লোককে দলে ভিড়িয়ে এই হামলা ও ভাংচুর করেছে। তাদের অত্যাচার নির্যাতনে আমরা অসহায়।
প্রবাসী হাফেজ আইয়ুব আনছারী জানান, আমি আরব আমিরাত প্রবাসী। জায়গাটি খরিদ করার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জামালের নেতৃত্বে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের পর ওই আওয়ামী লীগ নেতা এখন বিএনপির কিছু লোককে দলে ভিড়িয়েছে আমার জায়গাটি গ্রাস করতে এভাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন জানান, আমি কোন বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরা ভেঙে মামলা সাজানোর চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগও মিথ্যা।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ