![](https://dainikbayanno.com/storage/untitled-2-145.jpg)
নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করছি জানিয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লীলার বলেন, যা আশা করা যায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে। এটি আমাদের আকাঙ্ক্ষা যোগ করেন তিনি ।
তবে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এতে কোনো ভূমিকা নেই।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন কমিশনসহ ইউএনডিপির উন্নয়ন সহযোগী ১৮ টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
জাতিসংঘ বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন আশা করে, বলেছেন স্টেফান লিলার, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (টঘউচ) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি।
স্টেফান বলেন, নির্বাচন কমিশন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের কাছে নির্বাচনী সহায়তার জন্য একটি অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধের ভিত্তিতে, একটি প্রয়োজন মূল্যায়ন দল জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে, যাতে নির্ধারণ করা যায় জাতিসংঘ কী ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে।
সেই সুপারিশের ভিত্তিতে, আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন সহায়তার ক্ষেত্রে প্রাথমিক আলোচনা করেছি।
এটি নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, ভোটার নিবন্ধনের জন্য কাজ করা, ভোটার নিবন্ধন প্রচার চালানো এবং জনগণকে ভোটদানে উৎসাহিত করার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে।
নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, এটি আমার মন্তব্য করার বিষয় নয়।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে জাতীয় ইলেকশন নিয়ে চিন্তিত। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুত নিচ্ছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা সরকারি সিদ্ধান্ত সেটা করতেই হবে ।
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ সময়সীমার ব্যাপার বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের হাতে নাই। আমরা জানি এ মাসের মাঝামাঝি জাতীয় ঐক্যমতে কমিশনের কমিশন গঠন হবে। সেখানে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও কথা হইতে পারে। আমরা কিছু রিপোর্ট নিউজ পেপারে দেখতে পাচ্ছি সেগুলো ভেরিফাইড না এটা নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না, তিনি বলেন।
ইলেকশন নিয়ে কোন চ্যালেঞ্জ নাই মন্তব্য করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, তবে স্থান বেধে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে। একটা প্রশ্ন এসেছিল লোকাল গভমেন্ট ও ন্যাশনাল ইলেকশন একসাথে করা যায় কিনা
ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমাদের বাস্তবতায় ইলেকশন একসাথে করা সম্ভব নয়।যদি লোকাল কোম্পানি নির্বাচন করতে হয় জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে।
বায়ান্ন/এসএ