ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

বাংলা ব্লকেডের ২য় দিনে কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বরিশাল

মোঃ সিয়াম, ববি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৩:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সরকারি চাকুরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ষষ্ঠ দিনের মত আজ সোমবার (৮ জুলাই) আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাউন্ড ফ্লোরে মানববন্ধন ও আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো ঘুরে বেলা ১২ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।যা প্রতিবেদনে লেখার সময় পর্যন্ত চলমান। 

 

এসময় আন্দোলন সফল করতে যেকোনো পরিবেশ-পরিস্থিতিতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন সহ আন্দলোন সফল করতে রোববার (৭ জুলাই) বেলা ১২টায় ২৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

 

 

আন্দোলনকারী মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সৈকত হোসেন জানন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আপামর জনতা পাকিস্তানি শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে কে মুক্ত করে। আজ কোটা পদ্ধতি সেই শোষণ-বৈষম্যের পতাকা বহন করছে। অতি সত্তর আমরা এ কোটা পদ্ধতি থেকে মুক্তি চাই। 

 

 

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিংকু হোসেন জানান, কোটা সংস্করণে শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হোক। বর্তমান কোটা ব্যবস্থা সংশোধন করে সমতার ভিত্তিতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আমরা চাই, মেধাবী প্রার্থীদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হোক। আমরা শিক্ষার্থীরা পূর্বের ন্যায় ক্লাসে ফিরে যেতে চাই! চাই আবারও নিয়মিত বই খাতা নিয়ে বসতে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে নিন।

 

 

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিরাজুল ইসলাম,লোকপ্রশাসন বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ, ইংরেজি বিভাগের শারমিলা জামান সেজুতি,  সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অপর্না আক্তার ও জাহিদুল ইসলাম, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেহেদী হাসান  সহ আরো অনেকে। 

 

উল্লেখ্য, গত মাসের ৯ জুন থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।