বরগুনার বামনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দানের সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির পক্ষে দেওয়া পুষ্পস্তবকও ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা। পরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ও আওয়ামীলীগের নেতারা দু’পক্ষকে শান্ত করেন।
আজ মঙ্গলবার(১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বামনা উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বামনা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সকাল ৯টায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সরকার দলীয় সকল সংগঠন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রতিকৃতিতে পুষ্প দেয়। এসময় উপজেলা সৈনিক লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক নিয়ে যায় সভাপতি আলমগীর হোসেন খান ও তার নেতা কর্মীরা। তখন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার তাকে পুষ্পদান থেকে বিরত থাকতে বলেন। সৈনিকলীগ সভাপতি প্রতিবাদ করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় অপর পক্ষও চড়াও হলে দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে ভুক্তভোগী সৈনিক লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন খান অভিযোগ করেন, আমি আমার নেতাকর্মীদেও নিয়ে পুষ্পস্তবক প্রদান করতে গেলে আমাকে ভিতরে যেতে বাঁধা দেয় যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার। তিনি আমায় বলেন আপনার ফুল দেওয়া লাগবে না। আপনি এখান থেকে চলে যান। এঘটনার প্রতিবাদ করলে যুবলীগ সভাপতি আচমকা আমাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। পরে তার অনুসারি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাও আমার ওপর চড়াও হয়।
এদিকে দুপক্ষের হাতাহাতিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেওয়া সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপি সহ কয়েকটি পুষ্পস্তবক ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতারা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সরোয়ার বলেন, আমি সৈনিক লীগ সভাপতিকে বলেছি আপনি একটু পরে ফুল দিবেন। ছোট সংগঠন গুলো দিয়ে যাক। এ কথা বলার পরে তিনি চড়াও হয়ে ওঠে। পরে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা পূর্বেও বিএনপি কর্মী মহিবুর রহমান আমাদের ওপর চড়াও হলে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। তবে যারা আজ এই ঘটনাটি ঘটালো তারা কারা আপনারা সাবাই জানেন।
তবে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড. হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, আজকের পবিত্র দিনে যারা এই ন্যাক্তার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।