ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এহেসান উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহের স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এহেসান উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বহিষ্কারের অফিস আদেশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শাহাবুদ্দিন মিঞার নির্বাচনী অফিস, দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই সঙ্গে কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আব্দুল মালেককে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ওই ইউনিয়নের বোবড়া গ্রামের কেকারু মোহাম্মদের ছেলে সিদ্দিক আলী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এহেসান উল্লাহ উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। পরে নিম্ন আদালতে সময়মতো উপস্থিত না হওয়ায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেন। গতকাল সোমবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকার আদালত অবমাননার দায়ে ওই কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ২৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় সরকারি আইন ২০১৮-এর বিধি ৩৯ (২) অনুযায়ী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এহেসান উল্লাহকে ২১ মার্চ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
উল্লেখ্য, ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার বোবড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এহেসান উল্লাহ বাবুল (৫২), তাঁর দুই ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম ভাসানী (৫০), বালিয়াডাঙ্গী টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজের অধ্যক্ষ সাদেকুল ইসলাম (৪৮), একই গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আবু মাস্টার (৫২), বেলসারা ঝুড়িবস্তি গ্রামের সামশুল হুদার ছেলে পল্টু (৪০), ঝিকড়া বেলসারা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে মো. আফাক (৫০), একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে দবিরুল (৩৫), বেলসারা বালিয়াবস্তি গ্রামের মৃত সাহেরতের ছেলে নরেশ (৪০) ও বেলসারা বানিয়াবস্তি গ্রামের আলহাজ ছেপাতেলীর ছেলে মো. সুলতান (৫২)।