আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত লাফালাফি করেন আন্দোলনের দিন শেষ। আন্দোলনের জন্য মানুষ আর আসবে না। মানুষ বুঝে গেছে বিএনপিকে দিয়ে আর কিছু হবে না। মানুষ বলে বিএনপি হাঁটু ভাঙা দল।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা (নেতাকর্মীরা) হতাশ হবেন না, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন। যে দেশে শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী আছে সে দেশে আন্দোলনের ডাক দেওয়া যাবে, কিন্তু আন্দোলনের মানুষ পাওয়া যাবে না। দেশের মানুষ জানেন তিনিই সৎভাবে জীবনযাপন করছেন, তিনি লুটপাট করেননি।
কাদের আরও বলেন, আন্দোলনের নেতা নেই, নির্বাচনের নেতা নেই কাকে নিয়ে ভোট করবেন? পেট্রোল বোমা মেরে ষড়যন্ত্র করতে গেলে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বন্ধুদের আশস্ত করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। আপনাদের কাউকে নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। বিএনপির মতো হাঁটুভাঙা দল নিয়ে মাথা ঘামানো দরকার নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদযাত্রার নামে ভেতরে ভেতরে আগুণ সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে পতনযাত্রা। বিএনপির আন্দোলনে ডাক দিতে পারবে কিন্তু জনগণ আন্দোলন সফল হতে দেবে না। বিএনপি হাঁটু ভাঙা দল, আন্দোলনে পরাজিত। ভোটে গেলেও শেখ হাসিনার ধারে কাছে যেতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনতার রোষানলে কারা পড়েছে, যারা রাস্তা দখল করে পদযাত্রা করছে জনগণের রোষানলে তাদের ওপরেই। সে হাত দিয়ে ভাঙচুর করা হবে সেই হাত ভেঙে দেবো। এখন ওয়ার্মআপ চলছে, ফাইনাল খেলা এখনও বাকী।
কাদের বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ। মানুষ কাকে ভোট দেবে? যারা রাস্তা করেছে তাদের ভোট দেবে। ঘরে ঘরে যারা বিদ্যুৎ দিয়েছে তাকে ভোট দেবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে জানেন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। সারা বিশ্বেই সংকট, সুদানে দুই জেনারেলের লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৮০ শতাংশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ।