মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘন্টা পর বন্যার পানির নিচ থেকে শিপলু আহমদ (২৯) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। শনিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার উত্তর সুজানগর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজন ও স্থানীয়দের ধারণা, বন্যার পানির মাত্র ২-৩ হাত উচ্চতায় থাকা বিদ্যুৎলাইনে স্পৃষ্ট হয়েই শিপলু মারা গেছেন। নিহত শিপলু আহমদ উপজেলার সুজানগর ইউপির পাটনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর সুজানগর গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুরমান আহমদের বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে থাকতেন শিপুল আহমদ। অন্যান্য কাজের সাথে প্রতিদিন সকালে তিনি গবাদিপশুর ঘাস কাটতে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরেন। শনিবার সকাল ৮টায় বেরিয়ে অনেক বেলা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে গিয়ে পানির ওপর শূন্য নৌকা ঘুরতে দেখেন। পরে স্বজন ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার কায়ছার হামিদসহ এলাকাবাসী নিখোঁজের প্রায় ৬ ঘন্টা পর বিকেল চারটায় পানির নিচ থেকে শিপুল আহমদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুম আহমদ বলেন, শিপলুর লাশ যে জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর কয়েক হাত ওপরে বিদ্যুতের মেইন লাইন রয়েছে। শিপলুর কপালো কালো একটি চিহ্ন দেখে আমাদের ধারণা হচ্ছে, ঘাস কাটার সময় অসাবধনতাবশত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই পানিতে পড়ে মারা গেছেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।