রোজায় সব শ্রেণির মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার খেতে চান। আর এই চাহিদা ঘিরে সব পন্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এক শ্রেনীর অসাধুর ব্যবসায়ীরা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে। ভোলার সর্বত্র রুগ্ন, মরা ও পচা-গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মোরগ ক্রয় করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর কম দামে এসব পশু ক্রয় করে বেশী মুনাফার জন্য অসাধু কশাইরা শহরের বাজারে ও গ্রামের হাটে হাটে প্রতিদিন শত শত পশুর মাংস বেশী দামে বিক্রি করছে। একাধিক সরকারী সংস্থ্যা এসব পশু জবাইর তদারকীর নিয়ম থাকলও তাদেরকে দেখা যায়না বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
রবিবার (১৭এপ্রিল) মাংস বাজার ঘুরে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
ভোক্তা-ইউছুফ,ফারুক,জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, রমজান উপলক্ষে ছক তৈরি করে কম দামে রুগ্ন,মরা পশু ক্রয় করে বেশী মুনাফার জন্য অসাধু কশাইরা শহরের বাজারে ও গ্রামের হাটে হাটে প্রতিদিন শত শত পশুর জবাই করে মাংস বেশী দামে বিক্রি করছে। একাধিক সরকারী সংস্থ্যা এসব পশু জবাইর তদারকীর নিয়ম থাকলও তাদেরকে দেখা যায়না। প্রতিবছরের মতো এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি-৭০০, খাসির-৯৫০, ব্রয়লার-১৭০, লেয়ার-৩০০, দেশী মোরগ-৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজা থেকে মাংস ক্রয় করে খাওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের বিরিয়ানী হাউজগুলো অসাধু মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে যোগ সাজস করে মরা ও পচা মাংস দিয়ে বিরিয়ানী তৈরী করে দেদার্চে বিক্রি করছে। পম্প্রতি হাজি বিরিয়ানী হউজসহ ২ জনে একটি মরা মহিস ৪৫০০ টাকায় ক্রয় করে মাংস বস্তা ভরে নেয়ার সময় জনতা আটক করে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হলেও বাজারে তা মানা হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে বিক্রেতার ইচ্ছেমতোই। পাশাপাশি মাংসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে একাধিক সংস্থার বাজার তদারকি কার্যক্রম যথেষ্ট মনে করছেন না ভোক্তারা। এবিষয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা কোন মন্তব্য করেননি।
ভোলা জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ইদ্রজিত কুমার মন্ডল জানান, ডাক্তারী পরীক্ষা এবং পবিত্র লোক ছাড়া কোন পশু জবাই করা যাবেনা। মাংসের গায়ে সরকারী কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর থাকতে হবে, অনেক মাংস ব্যবসায়ী রাতেই পশু জবাই করে ভোরে বাজানে এনে বিক্রি শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিটি সংস্থা এর প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন।