১৫ জুন সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা দেখা দেয়। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পরপরই এলাকায় ছুটে আসেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বানভাসী মানুষের পাশে তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন। কিন্তু সিলেটের আরো চার মন্ত্রী ও অধিকাংশ সংসদ সদস্যকে পাশে পাচ্ছেন না বানভাসী মানুষ।
সিলেট-১ আসনের এমপি মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন রাষ্ট্রীয় কাজে ভারতে আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি মঙ্গলবারে সিলেট আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে।
সুনামগঞ্জের প্রিয় নেতা পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান করোনা আক্রান্ত হয়ে আছেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি সুনামগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশা দিয়ে যাচ্ছেন। মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন জানিয়েছেন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্যে মন্ত্রী মহোদয় সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
বড়লেখার সংসদ সদস্য মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনও রাষ্ট্রীয় কাজে রাজধানীতে ব্যস্ত আছেন। বিমান প্রতি মন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীকে সোমবারে দেখা গেছে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে।
মন্ত্রী ও এমপিদের এলাকায় অনুপস্থিতির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি এই ভয়াল পরিস্থিতির ভেতর প্রথম থেকেই নিজ এলাকায় এসে সবার খোঁজখবর রেখে ও প্রত্যক্ষভাবে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রশংসিতও হচ্ছেন কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ মজুমদার এলাকায় আসেননি। সিলেট-৬ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে সোমবারে গোলাপগঞ্জের বাঘায় দেখা গেছে। সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তও এলাকায় আসেননি। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এলাকায় আসতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় আছেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।
যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া যেসব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় পা রাখেননি তাদের সমালোচনা করেছেন সিলেটের বিশিষ্টজনরা।
সিলেট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, 'তারা জনসেবা বাদ দিয়ে আত্মসেবায় নিয়োজিত আছেন। তারা ভুলে গেছেন যে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।'