মাদারীপুরে দক্ষ জনবল না থাকায় এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনার ভ্যাকসিন দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এতে টিকা দিনে না পেরে বাড়িতে চলে গেছে অনেক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১৬ নভেম্বর মাদারীপুর সিভিল সার্জণ কার্যালয় থেকে ১৮ হাজার ৭শ’ ২০ ডোজ করোনা ভাইরাসের ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। পরে ১৭ নভেম্বর জেলা সদর হাসপাতালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ৫টি উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থী করোনা ভ্যাকসিন নিতে জেলা সদর হাসপাতালে আসেন। সকাল ৯টায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের টিকাদান কার্যক্রম। দক্ষ জনবল না থাকায় টিকাদানে ধীরগতি শুরু হয়। অনেকেই দীর্ঘসময় রোদে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশের সাথে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। টিকা দিতে না পেরে বাড়িতে চলে গেছেন অনেক শিক্ষার্থী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই।
টিকা নিতে আসা বেশ কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও রুমের মধ্যে প্রবেশ করতে পারিনি। পুলিশ গেটে আটকে দিচ্ছে। তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। স্বল্প সংখ্যক নার্স দিয়ে এই টিকা দেয়ায় ধীরগতি হচ্ছে। রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে একসাথে সবক’টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসায় এই সমস্যা হয়েছে বলে দাবি করে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জণ ডা. ইকরাম হোসেন জানান, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মাত্র ৬জন সিনিয়ির স্টাফ নার্স দিয়ে এই টিকা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এছাড়া আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পুরো টিকাদান কার্যক্রম শেষ করতে হবে।