পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। রবিবার (০৮ আগস্ট) ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের মৃত রজ্জব আলী খানের ছেলে ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, একই গ্রামের হালিম হাওলাদারের সাথে জাহাঙ্গীর খলিফার জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন যাবত। কিছুদিন পূর্বে হালিম হাওলাদারের ভাগনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে তদন্তভার দিলে তিনি গত (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে সরেজমিনে তদন্তে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ সদস্য সহ সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে তদন্ত চলার একপর্যায়ে উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অতঃপর স্থানীয় সাবেক বিএনপি নেতা হালিম হাওলাদার তার সাথে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দেন। এর জের ধরে পরের দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীর খলিফা ১১ জনের নামে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এই ঘটনার কিছুদিন পরে আমি জানতে পারি আমাকে আসামি করে ঘটনার একদিন আগে ২৫ সেপ্টেম্বর মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চুরি, ছিনতাই ও শ্লীলতাহানীর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিএনপি নেতা হালিম হাওলাদারের ভাগনে ওয়াদুদ সিকদার এই মামলার বাদী। আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় সুপরিকল্পিতভাবে যে ঘটনার সৃষ্টিই হয়নি সেই বানোয়াট ঘটনায় আগেই এই মামলা দায়ের করেন। আমি দেউলী গোহাটের ইজারাদার। মামলায় যে মিথ্যা ঘটনার সময় ও বিবরণ দেওয়া হয়েছে সে সময় আমি গরুর বাজারে ছিলাম। শুধুমাত্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার অধিকাংশ স্বাক্ষী জানেনা ঘটনার খবর। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ এটি। আমি এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি করছি। তাছাড়া আমি মনে করি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র।
মামলার সাক্ষী কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম ও রাজ্জাক হোসেন রিপনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঘটনার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। ঘটনার ব্যাপারে স্বাক্ষীরা সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনি। স্বাক্ষী লাইলি বেগম ও আমেনা বেগমের কাছে শ্লীলতাহানির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা পরে কথা বলবেন বলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
মামলার বাদী ওয়াদুদ সিকদার এর সাথে মুঠোফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।