কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গাছের পাতা কুড়ানো নিয়ে বিরোধে জহির মিয়া (৫০) নামে এক জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। বৃৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত এক যুবককে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ধামঘর দক্ষিন পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।নিহত জহির মিয়া (৫০) উপজেলার ধামঘর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে। আটককৃত যুবক হলো একই গ্রামের ও প্রতিবেশী মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার ধামঘর দক্ষিন পাড়ার জহির মিয়া ও তার প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের স্ত্রীদের মধ্যে পাতা কুড়ানো নিয়ে ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানতে জহির প্রতিবেশী খোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে খোরশেদ প্রতিবেশী জহিরকে ধাক্কা দেন। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত জহির মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, আমি বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে পাতা কুড়াতে গেলে খোরশেদ আলমের স্ত্রী আমাকে গালমন্দ শুরু কর। একপর্যায়ে আমার স্বামী প্রতিবাদ করলে খোরশেদ আলম আমাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে খোরশেদের সাথে কথা বলতে গেলে আমার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। খোরশেদ আলমের ধাক্কার ফলে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, জহিরের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এ বিষয়ে নিহত জহির মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে । হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোরশেদ নামে এক জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।