বান্দরবানের লামা সদর ইউপির মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ৭ জন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকলেও তার মধ্যে ৩ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এতে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৯টি শ্রেণিকক্ষের ৫৩২ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা তেমন না থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে মানসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা বলে জানান প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত।
জানা যায়, লামা সদর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। মানসম্মত পাঠদানের কারণে বিগত সময়ে উপজেলার প্রথম সারির একটি হিসাবে পরিচিত ছিল এটি। যার দরুন ২০১৩ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিদ্যালয়টিকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি দেয়া হয়। শ্রেণি বাড়ানো হলেও অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ বর্ধিত করা হয়নি স্কুলের।
প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দত্ত জানান, ‘পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমণ্ডলী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে এই বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভাল। ৯টি শ্রেণিকক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করেন। এ বছর পিইসি পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। বর্তমানে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। ৪ জন শিক্ষকের পক্ষে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা কষ্টসাধ্য। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কোন কাজ হয়নি।’
অভিভাবকরা বলেন, উপজেলার অনেক প্রাথমিক স্কুলে ৬টি শ্রেণিকক্ষের জন্য ১০/১২ জন শিক্ষক দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক দিয়ে এখন পাঠদান করানো হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে ভালো স্কুলটি মান হারাচ্ছে।
স্কুলের নব-নির্বাচিত সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, শিক্ষক বাড়ানোর বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী জানান, ‘পুরো উপজেলার অনেক স্কুলে আমাদের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। শিগগিরই ওই স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করা হবে।