ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোল্লা কলেজে সংঘর্ষ, লুটপাট: সাত কলেজের উত্তেজনা চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৪৮:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি), কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

সোমবার দুপুরে থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মোল্লা কলেজের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে চেয়ার, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী লুটপাট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের সময় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা গেট বন্ধ করে রক্ষার চেষ্টা করলেও বাইরে থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে।

সংঘর্ষে তিন কলেজের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মোল্লা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন, পাশাপাশি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও আহত হন। ডেমরা এলাকার এই সংঘর্ষে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রোববার ডিএমআরসির নেতৃত্বে ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন এবং মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হন।

সংঘর্ষ থামাতে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কমিটি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করবে।”

সংঘর্ষের পুরো সময়জুড়ে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

তিন কলেজের মধ্যে টানাপোড়েনের এই ঘটনা ঢাকার শিক্ষাঙ্গনে উদ্বেগজনক পরিবেশ তৈরি করেছে। অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বায়ান্ন/এএস/একে