ঢাকা, সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে এনটিসির চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে জিআর এর চাল বিতরণ

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ‘ন্যাশনাল টি কোম্পানী লিমিটেড’ এর ৮টি চা বাগানে প্রায় ১০ সপ্তাহের বকেয়া মজুরীর দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছে চা শ্রমিকরা। কাজ ও মজুরী বন্ধ থাকায় চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ কারনে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের বিশেষ বরাদ্দকৃত জিআর এর ৬৬.৩২ মেট্রিক টন চাল বন্টন করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন কার্যালয়। 

৩টি ফাঁড়ি বাগানসহ ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৮টি চা বাগানের ৬ হাজার ৬৩২ জন চা শ্রমিকদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার মাধবপুর, মদনমোহনপুর ও পাত্রখোলা চা বাগানে উপস্থিত থেকে চাল বিতরনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক স্বপন কুমার সিংহ, মদনমোহনপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন আহমদ, মাধবপুর চা বগানের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গির আলম, মাধবপুর ইউপি সদস্য মোতাহের আলী, শিব নারায়ন শীল, মকবুল আলী, নারায়ন রাজভর, বীনা রানী ও মনু দলইৈ ভ্যালি সভাপতি ধনা বাউরী প্রমুখ। 

এদিকে ভরা মৌসুমে এসে চা শ্রমিকরা চা পাতা চয়ন না করায় চা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে করে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ফাঁড়িসহ ১৬টি চা বাগান মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভরা মৌসুমে চা বাগানগুলো বন্ধের কারণে কোটি কোটি টাকা লোকসান মুখে পড়ছে ন্যশনাল টি কোম্পানি।

সরকার যদি দ্রুত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে চা শিল্প ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চা বাগানের কর্তৃপক্ষের অনেকেই জানিয়েছেন। বাগান বন্ধ থাকার পরও শ্রমিকদের সাপ্তাহিক রেশন দিচ্ছে কোম্পানি। 

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, কাজ বন্ধ থাকায় চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বিশেষ বরাদ্ধ জিআর ৬৬.৩২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ ও বন্টন করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে