যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের স্টোর থেকে থেকে বিপুল পরিমাণ অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। হাসপাতালে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক ও সিনিয়র নার্সের সহযোগিতায় এই চুরি করেছে এবং প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে এই ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে।
সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষদের স্বল্পমূল্যে সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য সরকার কর্তৃক অপারেশন কাজে ব্যবহৃত গজ ব্যান্ডেজ, ব্লেড, সহ প্রাথমিক চিকিৎসার যাবতীয় অপারেশন সামগ্রী প্রদান করে থাকে। এছাড়া রোগীদের কাছ থেকে হাসপাতালে সাপ্লাই নেই বলে বিভিন্ন অপারেশন সামগ্রীর প্রেসক্রিপশন দিয়ে কিনে আনতে বলা হয়। প্রেসক্রিপশনের কিছু জিনিস কাজে লাগিয়ে বাকিগুলো সংরক্ষণ করে প্রতি সপ্তাহে বস্তা বস্তা সরকারি ও রোগীদের আনা অপারেশন সামগ্রী বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি করেন।
গত রবিবার ভোরবেলা জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা সামগ্রী চারটি বড় বস্তাই করে রিক্সা যোগে রওনা হলে স্থানীয় জনতার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে ২ জন। আজ চুরি কৃত অপারেশন সমগ্রীর মূল্য এক লক্ষ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জরুরি বিভাগের অস্থায়ী কর্মচারী শাকিল হোসেন বস্তাবন্দী করে হৃদয় ও উসমান রোগীর টলিতে করে নিয়ে রিকশায় উঠান। হাসপাতালের মূল ফটোকের সামনে চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে এ সময় ওসমান ও হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অকপটে জরুরি বিভাগের সিনিয়র নার্স মিলন ঢালী এর নাম বলে। বিষয়টি মুঠোফোনে মিলন ঢালীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত জনতা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হইচই শুরু করেন। তখন চোরাই কৃত মালামাল চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে দফরফায় মিলন ঢালী মুক্তি পেতে চান। এ সময় মিলন ঢালীর কাছে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
যশোর ২৫০ শয্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিক দের জানাই চোর চিহ্নিত হয়েছে, তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।