বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেছেন, যেকোন সংকট ও সমস্যায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে আছে এবং থাকবে। তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রেই সহায়তা করা হবে। এলক্ষেই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অর্থসহায়তা, পিআইবি'র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের সমস্যা ও সংকটে পাশে না থাকার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র জনবান্ধবই নন, তিনি সাংবাদিকবান্ধবও। তাই তাঁর হাত দিয়েই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সূচনা হয়েছে। যে ট্রাস্টের সুফল এখন সাংবাদিকগণ পাচ্ছেন। শুধুমাত্র মৃত্যু বা চিকিৎসা সহায়তায় নয়, বরং করোনাকালীন সময়েও এই ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়েছে।
বগুড়ায় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মৃত্যুজনিত অর্থসহায়তা ও চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিইউজে) আয়োজনে এই চেক বিতরণ করা হয়।
বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিইউজে সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, বিএফইউজে'র নির্বাহী সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর ও এএইচএম আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিইউজে) সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ।
অনুষ্ঠানে ৬জন সাংবাদিকের চিকিৎসা ও মৃত্যুজনিত অর্থসহায়তা হিসেবে মোট সাড়ে ৭লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।