ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

শ্যামনগরে দেওয়ালে দেওয়ালে জৈব কৃষি চর্চার শ্লোগান

রনজিৎ বর্মন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ০৫:৩৩:০০ অপরাহ্ন | খুলনা
শ্যামনগরে দেওয়ালে দেওয়ালে জৈব কৃষি চর্চার চিত্র।

সাতক্ষীরার  শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দেওয়ালে দেওয়ালে জৈব কৃষি চর্চার শ্লোগান শোভা পাচ্ছে।

 

উপজেলার ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের ঈশ^রীপুর, বংশীপুর, ধূমঘাট, পাতড়াখোলা, পশ্চিম ধূমঘাট মুন্ডাপাড়া সহ অন্যান্য গ্রামের কৃষকদের জীববৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় যুব কৃষকবৃন্দ।

 

রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব) এর সহায়তায় গণ গবেষণা দলের সদস্যবৃন্দ নিজেরা রং তুলি দিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে লিখেছেন পরিবেশ রক্ষায় কাজ করব সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ব, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হব পাশাপাশি জৈব কৃষি শিখব। জীব বৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি করি, পরিবেশকে রক্ষা করি। সকল জনগণের সহযোগিতা চাই ,পরিবেশ রক্ষায় কাজ করব সবাই। মাটি রক্ষায় কাজ করি, মাটির জৈব শক্তি বৃদ্ধি করি। সকল যুব সংগঠিত হব, দেশের উন্নয়নে কাজ করব। যদি থাকে যুব শক্তি, সকল সমস্যার হবে মুক্তি। পাখি নিধন বন্ধ করি, পাখির অভয়ারান্য গড়ে তুলি। পরিবেশ সম্মত গাছ লাগাই, গাছ পরিচর্যা করব সবাই। গণ গবেষণা করব, জ্ঞান বুদ্ধির বিকাশ ঘটাব।

 

এছাড়া কৃষির ইকো সিস্টেম বজায় রাখতে যে সকল প্রাণি ভূমিকা রাখে যেমন, পেঁচা, সাপ, ফড়িং, মাকড়সা, বক, ব্যাঙ, গান্ধী পোকা, শামুক ইত্যাদির চিত্র  অংকন করে কোন স্তরে কার বসবাস এ গুলি দেখানো হয়। মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কি কি প্রয়োজন, মাটির প্রকারভেদ চিত্র অংকন করে দেখানো হয়।

 

এ সকল কার্যক্রম গুলি বাস্তবায়ন করেছে বংশীপুর গণ গবেষণা দল, শাপলা গণ গবেষণা যুব দল সহ অন্যান্য গবেষণা দলের সদস্যবৃন্দ।

ইতিমধ্যে জৈব কৃষি চর্চার দেওয়াল লিখন কার্যক্রমটি পরিদর্শন করে প্রশংসা করেন সাবেক এমপি এস এম আতাউল দোলন। এটি আরও পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ রিইবের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জার্মানীর রোসা লাক্সেমবার্গ স্টিফ্টুং এর প্রোগ্রাম অফিসার বিনোদ কস্টি।  

 

কৃষকরা স্থানীয় জাতের ফসল চাষ, জৈব সার উৎপাদন, জৈব প্রযুক্তিতে বালাই নাশক তৈরী ও ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিপনন করা, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা, জেন্ডার সমস্যা সমাধান করা, কৃষক স্কুল তৈরী করা, মানবাধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা  ও বৃক্ষ রোপন করা এ সকল বিষয়ে যুবদের সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে রিইব।

 

কৃষক খলিলুর রহমান, অসীম সাহা, যুবক বিপ্লব ঘোষ সহ অন্যান্য বলেন বর্তমান সময়ে রাসায়নিক সার কীটনাশকের প্রতি নির্ভর না হয়ে জৈব কৃষি চর্চা খুবই প্রয়োজন। প্রত্যেক কৃষক এক একজন কৃষি শ্রমিক। কৃষি শ্রমিকরা দিন রাত পরিশ্রম করে কৃষির চিত্র পাল্টে দিতে পারে। তারা বলেন যুবরা কৃষিতে ভূমিকা রাখলে জৈব কৃষির প্রসার ঘটবে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।