ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের জিএসের উপর হামলা, মামলা ও ভিপি মুরাদসহ তিন শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতিসহ ৭ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান।
বহিষ্কৃতরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম হাসান সনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসরাম অর্ক, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ হোসেন, মুস্তাকিম, ফরহাদ হোসেন-২ ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, সংগঠনের নীতি আদর্শ, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। একইসঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশও করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুল হাসানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কলেজের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ফাহিম হাসান সনির। শুক্রবার রাতে বিষয়টির সমাধানের জন্য ঝিনাইদহ শহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে যান সজীবুল।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে ফেরার পথে জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের সামনে পৌঁছালে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ফাহিম ও তার সমর্থকরা। হামলায় সজীবুল হাসানসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়। সে সময় সজীবের সঙ্গে থাকা ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হাসানসহ অন্যদেরও হামলা করা হয়। হামলাকারীদের থেকে বাঁচতে মোটরসাইকেলে পালানোর সময় সদর উপজেলার ১৮ মাইল নামক স্থানে দুর্ঘটনায় মুরাদসহ ৩ জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে সজীবুল হাসান বাদী হয়ে ফাহিম হাসান সনিকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতে সদর উপজেলার কোরাপাড়া এলাকা থেকে নয়ন মিয়া ও সংগ্রাম জোয়ার্দ্দার নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।