পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একটি ক্লিনিকে ইনডেপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও সাজু মিয়াকে আটক করে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মানববন্ধন সমাবেশ হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী, সাংবাদিক সংগঠন, নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সমাবশে বক্তারা রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের এসপিএ রিভার সাইড মেডিকেল সেন্টারে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহের সময় এই দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাদের দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মারধরের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিকের সুরক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব আইন বাতিল করতে হবে। সমাবেশে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনেরও সমালোচনা করা হয়।
নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হামলায় গুরুতর আহত হাসান মিসবাহ হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ওই ক্লিনিকের অনিয়ম তুলে ধরতে গিয়ে মেধাবী এই সাংবাদিকের জীবন আজ ঝুঁকির মুখে। এ ধরনের অপকর্ম চলতে থাকলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধী ক্লিনিক মালিক, কর্মচারীসহ যারা যারা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী সবাইকে শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো ঘটনা ঘটাতে সাহস পাবে না কেউ।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিন প্রধান বলেন, আমরা জেনেছি অনুমোদন না থাকায় ইতিমধ্যে ওই ক্লিনিককে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন ওই ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভুয়া চিকিৎসকের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। এছাড়া হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের এসআই মিলন হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করলেই হবে না, বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে স্থায়ী ভাবে চুড়ান্ত বহিষ্কার করতে হবে।
মানববন্ধন ও সমাবেশে একাত্তর টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সুলতান মাহমুদ ও দৈনিক দেশ বার্তা এর প্রতিনিধি মোঃ অলিউর রহমান মিরাজ ডেইলি সান এর প্রধিনিধি মোঃ রোকানুজ্জামান রোকন ও চ্যানেল এস এর প্রধিনিধি আজিনুর রহমান রাজু ও দৈনিক এশিয়াবাণী প্রত্রিকার প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম রাজু সহ সকল গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।