সাদপন্থী তাবলীগ জামাতের নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের আয়োজনে গাজীপুরে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ইজতেমা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানার বাঁশবাড়ি এলাকায় জোহরের নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের জেলা ইজতেমা। ইজতেমায় মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শামসুদ্দিন।
মোনাজাতে অংশ নিতে গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মুসল্লি আজ ভোর থেকেই ইজতেমা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। মোনাজাতে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা এবং সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়ায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা চোখের জল ফেলে আল্লাহর দরবারে শান্তি ও কল্যাণময় জীবনের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনদিনের ইজতেমায় ইসলামী জীবনদর্শন, আত্মশুদ্ধি এবং ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ বয়ান হয়। বয়ান করেন বিশিষ্ট আলেম মো. ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা শামসুদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মো. রেজা আরিফ সহ আরো অনেকে।
এসময় বক্তারা ইসলামের মূলনীতি, দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের চর্চা এবং আখলাকের (নৈতিকতা) গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। মুসল্লিদের প্রতি তারা আহ্বান জানান, যেন তারা দুনিয়ার লোভ- লালসা পরিত্যাগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে নিজেদের পরিচালিত করেন। এদিকে, ইজতেমার পুরো এলাকা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাখতে প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক এবং আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়া, মাঠজুড়ে ছিল স্বাস্থ্যসম্মত পানির ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় শৌচাগার। ইজতেমার খাবার ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন। মুসল্লিদের জন্য ইজতেমা মাঠে অস্থায়ী বাজার স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে সুলভ মূল্যে খাদ্যপণ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা শুধু ধর্মীয় কার্যক্রম নয়, এটি ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের নৈতিক ও আত্মিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বায়ান্ন/এসএ