সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী বুধবার ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এবারের শারদীয় দুর্গা উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে ইতিমধেই পূজা মণ্ডপের সকল ধরণের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
তবে দু-একটি মণ্ডপে চলছে আলোকসজ্জা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ। সব মিলিয়ে খুশির আমেজ বিরাজ করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাড়ায় পাড়ায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে পালনে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবকর সরকার জানিয়েছেন।
এ বছর সাভার উপজেলায় ১৯১টি পূজামণ্ডপে এই শারদীয় উৎসব পালিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে সাভার থানা এলাকায় ১০৯টি ও আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় ৮২টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। প্রত্যেক পূজামন্ডপের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সাভার থানার মধ্যে সাভার পৌরসভাতেই রয়েছে ৪০টি পূজামন্ডপ। এছাড়া সাভার সদর ইউনিয়নে ৩টি, বিরুলিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, বনগাঁও ইউনিয়নে ৯টি, ভাকুর্তা ইউনিয়নে ১৪টি, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে ২১টি ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নে ৯টি পূজামন্ডপ রয়েছে। তবে আমিনবাজার ইউনিয়নে কোন পূজামন্ডপ নেই।
আশুলিয়া থানা এলাকার শিমুলিয়া ইউনিয়নে ২৭টি, ধামসোনা ইউনিয়নে ১২টি, পাথালিয়া ইউনিয়নে ২১টি, ইয়ারপুর ইউনিয়নে ৯টি এবং আশুলিয়া ইউনিয়নে ১৩টি পূজামন্ডপ রয়েছে।
ঢাকা জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বরুণ ভৌমিক নয়ন বলেন, সাভারে এ বছর ১৮৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে প্রশাসনের সর্বোচ্চ তৎপরতা রয়েছে। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীও আছেন। আশা করছি কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে এবারের শারদীয় উৎসব সার্বজনীন রূপ পাবে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, ইতিমধ্যে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ বছর আনসার-পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় থাকবেন বলেও তিনি জানান।