ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বীজের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা

সোহাগ হাসান জয়, সিরাজগঞ্জ | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ ও রসুন চাষাবাদে বীজের দাম বেশি হওয়ায় চাষাবাদে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। তারা বলেন, প্রতি বিঘা রসুন চাষে ৩০ এবং পেঁয়াজে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সগুনা কাটাবাড়ি,নাদোসৈয়দপুর, হেমনগরসহ বেশকয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বিঘা জমিতে রসুন আবাদে ৩ মণ ভালো মানের বীজ লাগে। এর দাম চলতি বছরে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। অথচ গত বছর ২২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এবার শুধু বীজের খরচ বাড়ছে বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। অপরদিকে, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদের জন্য ৮ মণ ভালো মানের বীজ প্রয়োজন হয়। এর দাম চলতি বছর ৫৫ হাজার টাকা। গত বছর ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই হিসাবে এবার বীজ বাবদ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা বেশি লাগছে। ভরা মৌসুমে এ দুই ফসলের বীজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলে ৭৫০ হেক্টর জমিতে রসুন ও ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষকরা আরও জানান, চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় বিনা চাষে রসুন এবং পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হয়। তবে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বীজ বাজার থেকে কেনা। পেঁয়াজ-রসুন ওঠার পর কৃষক কিছু অংশ বাছাই করে বীজ হিসেবে রাখেন। এগুলো আট থেকে ৯ মাস বাড়িতে সংরক্ষণ করেন। সেগুলোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মসলা জাতীয় ফসলের আবাদে বিপ্লব ঘটে। এতে আবাদের ধারাবাহিকতাও রয়েছে। তবে মৌসুমে বীজের চড়া দাম কৃষকদের ভোগাচ্ছেন।

কৃষক আবু হানিফ, মকবুল হোসেন, জালাল মিয়া,ইদ্রিস আলীসহ অনেকে বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে রসুন ৩৮ থেকে ৪০ মণ এবং পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ মণ পাওয়া যায়। এর দামও অনেক। তিনি বলেন, পেঁয়াজ-রসুন তোলার সময় এত দাম থাকে না। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ধারদেনা করে আবাদ করায় ঋণ শোধ করতে ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অল্প দামে বিক্রি করে দেন। যখন দাম বাড়ে, তখন কৃষকের গোলায় কিছুই থাকে না। আমরা হতাশায় থাকি।

তাড়াশ উপজেলা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম বেশি। তবে এ আবাদে ভালো ফলন হলে কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করা হচ্ছে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে