মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। কোথায় কখন লোডশেডিং হবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেই সিন্ধান্তের আলোকে সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন এলাকাগুলোতে লোড-শেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। দিনে ও রাতে সিলেটে দেড় ঘণ্টা করে হবে লোড-শেডিং।
জানা গেছে- সিলেট নগরীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া ও ঝেরঝেরিপাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। শাহপরান থানা, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর ও পীরেরচকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোওয়াগাঁও, শাপলাবাগ ও মেন্দিবাগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, তেররতনে দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা। মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, বঙ্গবীর এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়ইটা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা।
কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিধীরপাড়, ঝরনারপাড়া এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়ইটা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা।
হকার্স মাকেট, কালীঘাট, আমজাদ আলী রোড, মহাজপট্রি, মাছিমপুর, ছড়ারপার এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকাল ৪টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।
কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড় এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকাল ৪টা এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা।
বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকাল ৪টা এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা।
শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া এলাকায় বিকাল ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা।
উপশহর ব্লক-এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি, সাদাটিকর এলাকায় বিকাল ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।
সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া এলাকায় বিকাল ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।
রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরীপাড়া, আগপাড়া এলাকায় বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা।
চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, বঙ্গবীর, পৌরমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা।
লোড-শেডিংয়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক একটি রুটিন করেছি। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি না হলে আমরা চেষ্টা করবো এই রুটিন ফলো করতে। তবে ঘাটতি বেশি হলে এই সময়ের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। অথবা ঘাটতি কম হলে তার চাইতেও কম সময় লোড-শেডিং হতে পারে।
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়ে শামস-ই আরেফিন বলেন, বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে লোড-শেডিং অনেকটা এড়ানো সম্ভব। সিলেটে পিডিবি-২ দপ্তরের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। যদি পিক আওয়ারে প্রত্যেকে গড়ে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন তাহলে মোট ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ফলে লোড-শেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসবে। এমতাবস্থায় সকল গ্রাহক পিক সময়ে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রেখে জাতীয় সংকট মুহুর্তে সহযোগিতা করবেন- এটাই আশা করছি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে দেশ।