ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

সিলেট নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ কোথায়-জাগো সিলেট

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২ মার্চ ২০২২ ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

বর্তমান সরকার সিলেট নগরীর উন্নয়নে শতশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। টাকা পেয়ে নগর কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো প্রকল্প প্রণয়ন করছে। ব্যয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু নগরবাসী দেখছেন উন্নয়নের পরিবর্তে দুর্ভোগের চিত্র। নগরবাসীর দুভোর্গের শেষ কোথায় তাও জানেন না কেউ। বিশেষ করে নগরীর ছড়াগুলো উদ্ধার না করায় বর্ষকালে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। অথচ ছড়া উদ্ধারে ব্যয় দেখানো হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। জাগো সিলেট আন্দোলনের সভাপতি আলাউদ্দিন আলো এক বিবৃতিতে ওই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আলাউদ্দিন আলো বলেন, দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া ছড়া খাল উদ্ধার করে সিলেট নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে গত এক যুগে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এতো টাকা খরচের পরও ছড়া উদ্ধার না হওয়া ও নগর জলাবদ্ধতা মুক্ত না হওয়ায় এসব প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি সিলেট নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় প্রায় ২৫ টি ছড়া। তবে দখল-দুষণে এখন অনেক স্থানে ছড়ার অস্তিত্বই হারিয়ে গেছে। নগরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৩টি বড় ছড়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৩ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরেই এসব ছড়ার দু’পাশ দখল করে রেখেছে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। এই ছড়াগুলো উদ্ধারে এ পর্যন্ত তিনটি প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কাটি টাকা ব্যয় করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ছড়া-খাল দখলমুক্ত করতে ২৩৬.৪০ কোটি টাকার বৃহৎ একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে এসব বৃহৎ প্রকল্পের পরও ছড়া দখলমুক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, এতে ২৬৮ জনকে দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দখলদারদের বেশিরভাগই প্রভাবশালী। এছাড়া কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ছড়া-খাল দখল করে এরা গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। অনেকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন ছড়ার গতি। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাষণের পথ। এতে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, সিলেট নগরীর অন্যতম এই সমস্যা সমাধানে ২০০৯ সালে নগরীর ছড়াগুলো উদ্ধারে ১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর ২০১৩ সালে একই লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয় ২০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প। এরপর নগরীর ছড়া খাল উদ্ধারে ২০১৬ সালে নেওয়া হয় ২৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার মেঘা প্রকল্প। এছাড়া এই সময়ে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও কয়েকটি ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। তবে এতো প্রকল্প, এতো অর্থ ব্যয় সত্ত্বেও এসব প্রকল্পে তেমন সাফল্য আসেনি। মুক্তি মেলেনি জলাবদ্ধতা থেকে।

সকল লুকোচুরি বন্ধ করে অবিলম্বে সরকারের দেয়া টাকা যথাযথ ব্যবহারের আহŸান জানিয়েছেন আলাউদ্দিন আলো। অন্যথায় নগরবাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী দেন।