পাহাড়ী ঢলে শতাব্দির ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। প্রবাসী অধুষ্যিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নিম্নআয়ের মানুষ সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে। নগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলো মানুষের কোলাহলে এবং খাদ্য সংকটে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলায় উপজেলায় টিম গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত নির্ণয় করে পুনর্বাসনে সরকারী ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রবাসীরা কষ্টার্জিত অর্থ প্রেরণ করে রেমিন্ট্যান্সের মাধ্যমে সরকারের রাজস্বকে সমৃদ্ধ করে অথচ তাদের আত্মীয়-স্বজন পানিবন্দী। বন্যা কবলিতদের বিষয়ে সরকার কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন না।
সোমবার সিলেট মহানগর জমিয়তের উদ্যোগে নগরীর বন্দরবাজারস্থ দুর্গকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিরাবাজার কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র ও ভাসমান সহ ৩ শতাধিক বানভাসী মানুষের মধ্যে রান্নাকরা খাবার বিতরণ কালে মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
রান্নাকরা খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর শাখার সহ সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সহ সভাপতি হাফিজ খলিলুর রহমান, সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক সরকার, সাবেক ছাত্র নেতা এম বেলাল আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী, হাফিজ মাহমুদুল হাসান, মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মুফতী জাকারিয়া মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক এলএলবি, ছাত্রনেতা ইসহাক হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জমিয়ত নেতা মাওলানা মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁও ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়, মাওলানা ইমরানের নেতৃত্বে গোয়াইনঘাটের জাফলং ও রাধানগর এলাকা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কানাইঘাটে ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মীম সালমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় এবং ছাত্রনেতা জাফর ইকবালের নেতৃত্বে গোলাপগঞ্জের বাঘা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।